নয়াদিল্লি: যুদ্ধের অষ্টম দিনেও রক্তক্ষয় অব্যাহত। সেই আবহেই বড় ঘোষণা ইজরায়েলের। তাদের দাবি, ড্রোন হামলায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার আলি কাদির মৃত্যু হয়েছে। হামাসের নুখবা ইউনিটের কমান্ডার আলি। ইজরায়েলের দক্ষিণে তিনি যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলে খবর। শনিবার ইজরায়েলি ড্রোনের হামলা তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। (Israel Palestine War)
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলির মৃত্যুর কথা জানিয়েছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, 'সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দাদের তৎপরতায়, বায়ুসেনার আঘাতে আলি কাদির মৃত্যু হয়েছে। তিনি হামাসের নুখমা কম্যান্ডো ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন। গত সপ্তাহে গাজা থেকে ইজরায়েলিদের উপর হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আলি'। (Israel Palestine Conflict)
ইজরায়েলি বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ২০০৫ সালে আলিকে আটক করা হয়েছিল। ইজরায়েলি নাগরিকদের অপহরণ এবং হত্যার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পর বন্দিমুক্তি চুক্তির আওতায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। ইজরায়েলি সেনাও আলির মৃত্যুর খবরে সিলমোহর দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, 'গত ৭ সেপ্টেম্বর আলি কাদি অমানবিক, বর্বর নরসংহারে নেতৃত্ব দেন আলি। ওঁকে নিকেশ করেছি আমরা। হামাসের সব জঙ্গির পরিণতি এমনই হবে'।
আরও পড়ুন: Joe Biden: যুদ্ধে শিশুদের শিরচ্ছেদ! ভুয়ো খবর ছড়ানোয় অভিযুক্ত খোদ বাইডেন, সাফাই দিল হোয়াইট হাউস
গত শনিবার ইজরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট ছোড়ে প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠন। দীর্ঘ দিনের সংঘাত একদিনের মাথাতেই যুদ্ধের চেহারা নেয়। একদিকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অত্যাচার, শোষণ এবং নিপীড়নের অভিযোগ এনেছে হামাস। অন্য দিকে হামাসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছে ইজরায়েল। সেই নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রক্তপাত ঘটে চলেছে।
এই যুদ্ধে কার্যতই দ্বিধাবিভক্ত গোটা দুনিয়া। আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশ সরাসরি ইজরায়েলের সমর্থনে এগিয়ে এলেও, ইরান, সিরিয়া, লেবানন আবার প্যালেস্তাইনের পক্ষে। সৌদি আরব, রাশিয়া আবার নিরপেক্ষ অবস্থান নিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে ১৩০০-র বেশি ইজরায়েলি নাগরিক মারা গিয়েছেন। গাজায় ১৫৩০ প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের দাবি, হামাসের ১৫০০ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে তারা। আহতের সংখ্যাও কয়েক হাজার।
ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা কার্যত ফুঁড়ে ফেলেছে তারা। গাজাকে 'সন্ত্রাসমুক্ত' করতেই অভিযান চালায় তারা। তাদের দাবি, হামাস ১৫০ জন ইজরায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করে রেখেছে। যদিও এই পরিসংখ্যান নিয়ে ধন্দ রয়েছে।