নয়াদিল্লি: একচিলতে গাজা স্ট্রিপের (Gaza Strip) এদিক-ওদিক ছড়িয়ে লাশের স্তূপ। যাঁরা বেঁচে রয়েছেন, জল-জ্বালানি-খাবারের উপর অবরোধের জেরে তাঁদের জীবন কার্যত নরক। তবে মঙ্গলবার ইজরায়েলের (Israel Hamas War) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানালেন, গাজার (Gaza Sieze) দক্ষিণাংশে ত্রাণ ঢুকতে অনুমতি দেবেন তাঁরা। শর্ত একটাই। হামাস যেন বাধা না দেয়। সেক্ষেত্রে, মুহূর্তের মধ্যে ফের বলবৎ হবে অবরোধ, স্পষ্ট হুঁশিয়ারি গাজার। 


ইজরায়েলের বার্তা..
তেল আভিভের তরফে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা যাচি হানেগবির বক্তব্য, 'যাঁরা পালাচ্ছেন, সরাসরি তাঁদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। হামাসের হাতে নয়।' গাজার উত্তরাংশ ছেড়ে বাসিন্দারা যাতে দক্ষিণের দিকে সরে যান, সে মর্মে হালেই খোলাখুলি বার্তা দিয়েছে ইজরায়েল। কিন্তু তাদের অভিযোগ, বাসিন্দারা পালাতে চেষ্টা করলেও বাধা দিচ্ছে হামাস। ইজরায়েলের আক্রমণের মুখে গাজার নিরীহ, সাধারণ বাসিন্দাদের হিউম্যান শিল্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চায় তারা। সেই জন্যই তাঁদের পালাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর সরকারের। সব মিলিয়ে অকল্পনীয় দুর্দশা সাধারণ মানুষের। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, গত শনিবার থেকে এ পর্যন্ত ইজরায়েলের আক্রমণে সেখানে অন্তত ৩ হাজারের মৃত্যু হয়েছে। জখম সাড়ে বারো হাজারেরও বেশি। হামাসের অন্যতম প্রধান সেনা কমান্ডার, আয়মান নোফলও রয়েছে নিহতের তালিকায়। চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালে আসা বাসিন্দাদের চাপ বাড়ছে। কিন্তু চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। কারণ? জ্বালানির অভাবে হাসপাতালের সমস্ত যন্ত্রপাতি বন্ধ হওয়ার মুখে। সার্বিক ভাবে বললে, চিকিৎসা পরিষেবা ভেঙে পড়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে গাজা।


আর যা...
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত দফতরের বক্তব্য, যে ভাবে গাজায় জল-জ্বালানি-খাবার ঢোকার উপর ইজরায়েল অবরোধ জারি করেছে তা আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। এমনকি, ওই ভূখণ্ডের উত্তরাংশের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশও নাগরিকদের বলপূর্বক ভূমিচ্যুত করার আওতায় পড়তে পারে, মনে করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ইজরায়েলের এই পদক্ষেপ প্রথম থেকেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে। তা সত্ত্বেও নিজ অবস্থানে অনড় তেল আভিভ। তাদের তরফেও ক্ষয়ক্ষতি নেহাত কম নয়। হামাসের হামলায় অন্তত ১৩০০ ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে। আইডিএফের ৩০২ জন সদস্যের প্রাণ গিয়েছে বলেও খবর। ইজরায়েলের সেনার তরফে এদিনও দাবি করা হয়, বৃহত্তর হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। পাল্টা হুমকি দিয়ে চলেছে ইরানও। তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইজরায়েল অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ না করলে রেজিস্ট্যান্স ফোর্সকে কেউ আটকাতে পারবে না। এসবের মধ্যে এদিন জর্ডনে প্যালেস্তিনীয় অথরিটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। প্রশ্ন একটাই। কবে থামবে এই মৃত্যুমিছিল? উত্তর নেই। যুদ্ধ চলছে...


আরও পড়ুন:SBI, PNB,HDFC, ICICI ! কোন ব্যাঙ্ক দিচ্ছে বেশি সুদ ?