নয়াদিল্লি: প্যালেস্তাইনের হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গোড়াতেই পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত।  এবার ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল ইজরায়েল। ২৬/১১ মুম্বই হামলার বর্ষপূর্তির আগে (26/11 Mumbai Attacks), সরকারি ভাবে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করল তারা। মঙ্গলবার ইজরায়েলের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের তরফে কোনও অনুরোধ এবং সুপারিশ ছাড়াই, নিজেদে থেকে ইজরায়েল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। (Israel India Relations)


ভারতে ইজরায়েলি দূতাবাসের তরফে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, 'ভারত সরকাররে তরফে এই মর্মে কোনও অনুরোধ আসেনি যদিও, কিন্তু লস্কর-ই-তৈবা সংগঠনকে সরকারি ভাবে সন্ত্রাবাদী সংগঠনের তালিকায় রাখার সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া এবং ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করে ফেলেছে ইজরায়েল সরকার'।


পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের নিন্দা করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, 'লস্কর-ই-তৈবা একটি প্রাণঘাতী এবং অপরাধমূলক সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা কয়েকশো নিরীহ ভারতীয় এবং অন্যদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর যে জঘন্য অপরাধ ঘটিয়েছিল ওরা, শান্তিকামী প্রত্যেক দেশ এবং সমাজের স্মৃতিতে আজও তার স্মৃতি দগদগে'।


আরও পড়ুন: Ukraine Sniper World Record: ৩.৮ কিলোমিটার দূর থেকে বন্দুক তাক করে রুশ সেনাকে হত্যা, বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ইউক্রেনীয় স্নাইপার


২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের বুকে হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈবা। সেই হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়, যাঁদের মধ্যে কয়েক জন বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। আহত হন ৩০০-র বেশি মানুষ। মায়ানগরীর বুকে যে ১২ জায়গায় হামলা চালানো হয়, তার মধ্যে মুম্বইয়ের ইহুদি সেন্টার চবাড় হাউজও ছিল। সেখানে দুই জঙ্গি মিলে বেশ কয়েক জনকে পণবন্দিও করে রাখে।


ফলে মুম্বই হামলার সঙ্গে ইহুদি আবেগও জুড়ে যায়। ওই হামলায় ছয় জন ইহুদি মারা গিয়েছিলেন। সেই সময় ইজরায়েলের তরফে শোকপ্রকাশ করে ভারতকে সমবেদনা জানানো হয়। এ বছক ২৬/১১ মুম্বই হামলার বর্ষপূর্তির ঠিক আগে, লস্করকে সঙ্গি সংগঠন ঘোষণার নেপথ্যে অন্য সমীকরণও দেখছেন কূটনীতিকরা। তাঁদের মতে, যুদ্ধের শুরুতে ভারত-সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সমর্থন পেলেও, গাজায় আক্রমণের তীব্রতা যত বাড়াচ্ছে ইজরায়েল, ততই তাদের নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক মহল। হামাসের সমালোচনা করলেও, প্যালেস্তাইনের প্রতি ইজরায়েলের আচরণের সমালোচনা করেছে ভারতও। এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে পাশে পেতেই ইজরায়েলের তরফে এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।