নয়াদিল্লি: পঞ্চম দিনের প্রথমার্ধে যুদ্ধে প্রাণহানি ৩৬০০। শুধুমাত্র গাজাতেই মৃতের সংখ্যা প্রায় ১১০০। সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা প্রায় ১০০০০। সবমিলিয়ে ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন যুদ্ধ। ইজরায়েলের দাবি, কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত গাজার ভূখণ্ড তাদের দখলে চলে এসেছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে হামাসের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না বলে সামনে এসেছে দাবি। (Israel-Palestine War)


যুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র জুগিয়ে ইজরায়েলকে সাহায্য করছে আমেরিকা। ইজরায়েলের নেভাতিম বায়ুসেনাঘাঁটিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই বিমান এসে পৌঁছেছে। এর ফলেই হামাসের মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে বলে ইজরায়েলি সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে। হামাস প্যালেস্তাইনের রাজনৈতিক সংগঠন হলেও, আমেরিকা তাদের সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিয়েছে। তাই যুদ্ধে সবরকম ভাবে ইজরায়েলকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। (Israel-Palestine Conflict)


ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, রাতভর গাজা শহর কার্যত খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। তাদের যুদ্ধবিমান থেকে ২০০টি জায়গায় এলোপাথাড়ি বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। হামলার তীব্রতা বাড়াতে ৩ লক্ষ সংরক্ষিত বাহিনী নামিয়েছে ইজরায়েল। প্যালেস্তাইনের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, শনিবার থেকে ইজরায়েলি হানায় তাদের ২২ হাজার বসতি ধুলোয় মিশে গিয়েছে। ৪৮টি স্কুল এবং ১০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: Israel-Palestine War: ইজরায়েলকে সমর্থন মোদির, ‘জমি ছাড়ো’ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাজপেয়ী, ভাইরাল সেই ভিডিও


প্যালেস্তাইনের সংবাদ সংস্থা 'ওয়াফা' জানিয়েছে, আল-কারামা এলাকায় ফসফরাস বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। গভীর রাতে বোমা ফেলা হয় বলে অভিযোগ। ইজরায়েল এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি যদিও। তবে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহল। কারণ জনবহুল এলাকায় ফসফরাস বোমা, বিশেষ করে সাদা ফসফরাস বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই একাধিক ভিডিও এবং ছবি সামনে এসেছে, যাতে ঝাঁকে ঝাঁকে আগুনের গোলার মতো বস্তু নেমে আসতে দেখা গিয়েছে। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, গতকাল মধ্যরাতে গাজায় রকেট ফেলা হয়েছে। তাতে কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা তাদের দখলে চলে এসেছে, যা এতদিন হামাসের দখলে ছিল। তবে যুদ্ধ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইজরায়েলকেও।  কারণ লেবানন সীমান্তে হেজবোল্লাও ইজরায়েলি সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে ইজরায়েল সরকারকেও। গোয়েন্দারা বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও কেন তৎপরতা চোখে পড়েনি, প্রশ্ন উঠছে।