নয়াদিল্লি: যুদ্ধের পঞ্চম দিনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ছুঁইছুঁই। রকেট হানা, বোমাবাজি, গোলাগুলি চলছেই। তার মধ্যেই চরম নৃশংসতার খবরও সামনে আসছে। পণবন্দি করে ইজরায়েলি নাগরিকদের মেরে ফেলার অভিযোগ উঠছে হামাসের বিরুদ্ধে। সেই আবহেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শিউড়ে ওঠার মতো ভিডিও সামনে এল (Viral Video), যেখানে শিশু-সহ আহত ইজরায়েলি নাগরিকদের জোর করে বার্তা দেওয়ানো হচ্ছে। (Israel-Palestine War)


সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিওটি সামনে এসেছে, যার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। হামাসের তরফে ভিডিওটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পণবন্দি অবস্থায় রয়েছে একটি ইজরায়েলি পরিবার। পা থেকে রক্ত ঝরছে এক ব্যক্তির। পাশে শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে বসে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। পাশে বসে রয়েছে দম্পতির আরও দুই সন্তান। তাদের মধ্যে একজন অঝোরে কেঁদে চলেছে। 


সেই অবস্থাতেই বন্দুকধারী কয়েক জন কার্যত শাসানি দিচ্ছেন ওই দম্পতিকে। ভিডিও-য় যা শোনা গিয়েছে, সেই অনুযায়ী, বন্দুকধারী একজন বলেন, "নিজের দেশের সঙ্গে কথা বল। জানাও ওদের যে আমরা এসে গিয়েছি।" গাজা সংলগ্ন কিবুৎজের একটি বাড়িতে ঢুকে ওই ভিডিও তোলা হয় বলে দাবি সামনে এসেছে। আহত ব্যক্তি জানান, তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে।



আরও পড়ুন: Israel-Palestine War: গভীর রাতে গাজায় পড়ল ফসফরাস বোমা! পঞ্চম দিনে যুদ্ধে হত ৩৬০০


ভিডিও-য় যাঁদের হামাস বাহিনী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন এর পর আহত ওই ব্যক্তির পরিচয়পত্র দেখতে চান। সেটি বের করতে উদ্যত হন আহত ব্যক্তি। কিন্তু পায়ে গুলি লাগায় দাঁড়াতে পারছিলেন না তিনি। সাহায্য প্রয়োজন বলে জানাতে, হামাসের একজন তাঁকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্যও করেন। তাতে ওই ব্যক্তির ক্ষত আরও স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়।


এক সময়, ওই দম্পতির ছেলের উপর জোর খাটাতেও দেখা যায় হামাসকে। বন্দুক তাক করা হয় তার মাথায়। সেই অবস্থায় বাকিদের লোকজনকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হুঁশিয়ারি দেয় হামাসের লোকজন। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এখনও ১৫০ জন হামাসের হাতে পণবন্দি হয়ে রয়েছে। বন্দিদের মধ্যে রয়েে একরত্তি শিশুরাও। জার্মানিতে নাৎসিদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া এক ব্যক্তিকেও বন্দি করা হয়েছে বলে খবর। 


হামাসকে রুখতে এই মুহূর্তে গাজাকে কার্যতই জব্দ করতে নেমে পড়েছে ইজরায়েল। চারিদিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে গাজাকে। বিদ্যুৎ, পানীয় জল, খাদ্য সরবরাহের সব রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২৩ লক্ষ মানুষের বসবাস সেখানে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য চালাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।