নয়াদিল্লি: যে কোনও সময়ে হামলা করতে পারে ইরান, এই আন্দাজে মধ্য গাজায় আগুন ঝরাল ইজরায়েল (Israel Strikes Cental Gaza)। সিরিয়ায়, ইরানের সেনার দুজন জেনারেলের হত্যার জবাবে হামলা হতে পারে এই নিয়ে উত্তেজনায় কার্যত ফুটছে পশ্চিম এশিয়া। ফ্রান্স ইতিমধ্যে নাগরিকদের ওই এলাকায় যেতে বারণ করে অ্যাডভাইসরি জারি করেছে। এর মধ্যে, মাঝরাত্রে, মধ্য গাজার নুসেইরত শহরে নাগাড়ে গোলাবর্ষণ করে আইডিএফ। সঙ্গত করে বায়ুসেনা। মহম্মদ অল-রয়েস নামে এক ৬১ বছরের বৃদ্ধের কথায়, 'যে দিকে দেখছি, শুধুই আগুন আর নিথর দেহের সারি। কত শত মানুষ শহিদ হয়েছেন।'


যা ছবি...
লায়লা নাসের নামে আর এক বাসিন্দার অভিজ্ঞতা, 'ওরা খান ইউনিসে যা করেছে, নুসেইরতেও তাই করবে।' আপাতত, গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দার মতোই গাজার দক্ষিণতম শহর রাফা-য় পালাতে পারলে বাঁচেন তিনি। যদিও সূত্রের খবর, রাফায় নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও জায়গা নেই। টানা হামলা চালিয়ে খান ইউনিস-কে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার পর হালেই সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইজরায়েল, যা দেখে অনেকের ধারণা এবার মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা-র হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে তারা। 
গত ৭ অক্টোবর থেকে যে সংঘাত চলছে, তাতে ইজরায়েলের তরফে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ১৭০। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক বলে দাবি তেল আভিভের। তবে হামাস যে সেদিনের অভিযানে শুধু নির্মম হত্যাকান্ড চালিয়েই ফেরত গিয়েছিল, তা নয়। সঙ্গে বহু মানুষকে পণবন্দি করেও নিয়ে যায়, অভিযোগ ইজরায়েলের। জবাবি হানায় এখনও পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬৩৪। শুধু শুক্রবারেই আরও ৮৯ জন মারা গিয়েছেন বলে দাবি গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। তবে হতাহতের সংখ্যা দিয়ে গাজার পরিস্থিতি বোঝা পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি বহু দিন ধরে সতর্ক করছে, অবিলম্বে সেখানে ত্রাণ পৌঁছনোর ব্যবস্থা না হলে একদিকে অনাহার, অন্যদিকে মহামারী তাণ্ডব দেখাতে শুরু করবে। কিন্তু ইজরায়েলকে এত দিন একচুলও নড়ানো যায়নি। শেষে তারা কয়েকটি সীমান্ত খুলে অতিরিক্ত মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ায় রাজি হলেও আমেরিকা এদিনই আশঙ্কা প্রকাশ করে, সম্ভবত ইতিমধ্যে সেখানে অনাহারের প্রকোপ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চললে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।


প্রতিক্রিয়া...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবারই সতর্ক করেন, 'ইজরায়েলে বড়সড় হামলা চালানোর চেষ্টায় রয়েছে ইরান।' তবে সেক্ষেত্রে, পশ্চিম এশিয়ার তাদের অন্যতম মিত্র, ইজরায়েলের পাশে তারা যে পুরোপুরি থাকবে, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। রাশিয়া এবং জার্মানি অবশ্য সংযমের পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছে দু-তরফকে। ফ্রান্স আবার নাগরিকদের ইরান, লেবানন এবং প্যালেস্তিনীয় ভূখণ্ড যাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছে। সব মিলিয়ে ইরানি-হানার আশঙ্কায় সতর্কতা তুঙ্গে। তবে ইজরায়েলের হামলা থামছে না।      


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন:প্রথম ভারতীয় হিসেবে 'মহাকাশের পর্যটক' হচ্ছেন বিজয়ওয়াড়ার গোপীচাঁদ