রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ছয়টি ট্রাকে সাতটি হাতি। জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতুর (Teesta Bridge) কাছে ট্রাক ভর্তি হাতি আটক করল বন দফতর (Forest Department)। অরুনাচল প্রদেশ থেকে ট্রাক বোঝাই করে অসম (Assam) হয়ে গুজরাট (Gujrat) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই হাতিগুলোকে। ছোট বড় মিলিয়ে মোট সাতটি হাতি ছিল বলে জানা গিয়েছে।


মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিস্তা সেতুর কাছে হাতিসহ ট্রাকটি আটক করে জলপাইগুড়ি বন বিভাগের কর্মীরা। 


ঘটনায় মাহুত এবং গাড়ির চালকসহ ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বন দফতর। পাচারের উদ্দেশে হাতিগুলোকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা জানতে কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি হাতির কানে লাগানো মাইক্রো চিপ পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে বনদফতর।


আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: ছুটিতে শ্বশুরবাড়ি এসে রাতের আগুনে প্রাণ খোয়ালেন নব দম্পতি


সম্প্রতি বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের সাহাপুর গ্রামে ঢুকে পড়া দলছুট একটি হাতিকে দেখতে গিয়ে হাতির হানায় গুরুতর জখম হন এক যুবক। আহত যুবকের নাম সুবল মুর্মু। এদিন সাত সকালে ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের সাহাপুর গ্রামে। আহত যুবককে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


বন দফতর সূত্রে জানা যায়, দিন দুই আগে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বনবিভাগে ঢুকে পড়ে পাঁচটি হাতির একটি দল। এরপর ওই দলটি অপর একটি দলের সঙ্গে মিলিত হয়। দুটি দল মিলিয়ে ১১টি হাতি দারকেশ্বর নদ পেরিয়ে সোনামুখীর দিকে রওনা হয়ে গেলেও ওই দলের একটি হাতি দলছুট হয়ে দারকেশ্বরের অপর পাড়ে থেকে যায়।


আরও পড়ুন: West Bengal News Live: বালি খাদান নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন তৃণমূলের উপপ্রধান?


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে দলছুট হাতিটি সাহাপুর এলাকায় গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করলে স্থানীয় যুবক সুবল মুর্মু হাতি দেখতে যান। এই সময় হাতিটি সুবল মুর্মুকে তাড়া করলে সুবল মুর্মু কাদায় পা পিছলে পড়ে যায়।