নয়া দিল্লি: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর ফের জম্মু কাশ্মীরকে অশান্ত করার চেষ্টা। পরপর চারদিন সীমান্তে গুলিবর্ষণ পাক সেনার। বিনা প্ররোচনায় গতকাল মধ্যরাতে কুপওয়াড়া ও পুঞ্চ জেলার কাছে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। 

ভারত-পাক দ্বন্দ্বের আবহে সীমান্তে বর্তমানে টানটান পরিস্থিতি। যে কোনও সময় হতে পারে অ্যাকশন। মাথা গুঁজতে বাঙ্কার তৈরি রাখছেন স্থানীয়রা। পাকিস্তানি সামরিক পোস্টের কাছাকাছি অবস্থিত গ্রামগুলির বাসিন্দারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুরনো ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারগুলি পরিষ্কার করে সেখানে জরুরি সরবরাহ মজুত করতে শুরু করেছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর। 

গত কয়েক বছরে যে ‘আপৎকালীন আশ্রয়ে’র কথা কার্যত ভুলে গিয়েছিলেন, সেখানেই মজুত করছেন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সীমান্তবর্তী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বাঙ্কারের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন নতুন করে বাঙ্কারগুলি পরিষ্কারের কাজ শুরু করছেন সবাই। উপত্যকায় যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে।”                                                                                                   

এই বাঙ্কারগুলিকে স্থানীয়রা ‘মোদি বাঙ্কার’ বলেন। মোদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এলওসি বরাবর প্রচুর বাঙ্কার তৈরি হয়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সরকারি সহায়তায় সীমান্ত এলাকায় এগুলি তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালে প্রায় ৮ হাজার বাঙ্কার তৈরি হয়েছে।

এক বাসিন্দা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “মানুষ বাংকারের কথা ভুলেই গিয়েছিল। এখন আবার সেগুলি পরিষ্কার করা হচ্ছে। একটা ভয় কাজ করছে, তবে আমরা আশাবাদী, উপত্যকায় শান্তি ফিরে আসবে।” 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর জল্পনার মধ্যে সেই বাঙ্কারগুলিতে বিছানা, কম্বল নিয়ে যেতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মধ্যে জম্মুতে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর (আইবি) মাটির নীচে প্রায় ৮ হাজার বাঙ্কার তৈরি করা হয়। জম্মু, সাম্বা, পুঞ্চ, কাঠুয়া এবং রাজৌরি জেলার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪ হাজার ৪৬০টি বাঙ্কার তৈরির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। পরে আরও ৪ হাজার বাঙ্কারের অনুমোদন দেওয়া হয়।