নয়াদিল্লি : ফের ভূমিকম্প ( earthquake)। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪.৩। বুধবার কেঁপে উঠল জম্মু কাশ্মীরের মাটি। ভূমিকম্প আঘাত হানল কাটরায় (  Katra town in Jammu-Kashmir )।  National Centre for Seismology র তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে ঘটেছে। রাত ২.২০ মিনিটে ভূকম্পনটি হয় ( earthquake )। 


National Centre for Seismology একটি ট্যুইটে জানিয়েছে, একটি ৪.৩ মাত্রার ভূকম্পন হয় কাটরায়। এর আগে ১১ জুন, অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম কামেং জেলায় ৩.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।


 মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে । এদিন দিল্লি শহর-সহ উত্তর ভারতের কম্পনের রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৪। জানা যায়, জম্মু কাশ্মীরের ডোডা জেলার গান্দোহ ভালেসা গ্রাম থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে, মাটি থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীরে এই কম্পনের উৎপত্তি হয়। মঙ্গলবারও দিল্লির পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়।  


ভারতে আরও বাড়বে ভূমিকম্প?

চলতি বছরের শুরুতেই ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে শক্তিশালী ভূকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়েছে। ২১ মার্চ যেমন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি (Delhi)। যদিও কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তান (Afghanistan)। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুসারে, আফগানিস্তানের ফয়জাবাদে রাত ১০টায় রিখটার স্কেলে প্রায় ৭.৫ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কম্পন পাকিস্তান এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য জুড়ে অনুভূত হয়েছিল।


কোন কোন অঞ্চলে লাল সতর্কতা রয়েছে?
 
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ঘন ঘন কম্পন এবং ভূমিকম্প হতে পারে ভারতের একাধিক এলাকায়। বিশেষ করে হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য। ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। ২০২২ সালের একটি সমীক্ষা বলছে যে হিমালয় অঞ্চলটি ভূমিকম্পের দিক থেকে সবচেয়ে সক্রিয়।


হিমালয়ের কোলে অতিরিক্ত বাড়ি বা বড়-বড় হোটেল এবং তার থেকে সৃষ্ট দূষণও যে ভূ-পৃষ্ঠের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেটিও ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভূ-বিশেষজ্ঞরা। যে কোনও সময় হিমালয় অঞ্চলে অনেক বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হল ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয় না। টেকটোনিক প্লেটগুলি যখন শক্তি ছেড়ে দেয় তখনই ভূমিকম্প হয়। ফলে জনসধারণকে সতর্ক করে দেওয়ার উপায় থাকে না।