শ্রীনগর: ফের উত্তপ্ত উপত্যকা। জম্মু কাশ্মীরের কুলগামে (Kulgam) শুরু হয়েছে জঙ্গি-নিরাপত্তাবাহিনী সংঘর্ষ। রবিবার সকালে শুরু হয়েছে এনকাউন্টার (Encounter)। কুলগামের দেবসারের চেয়ান এলাকায় শুরু গুলির লড়াই। রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত হতাহতের খবর নেই।
জঙ্গি অনুপ্রবেশ:
একই দিনে কাশ্মীরের (Kashmir) আরও একাধিক এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। কাশ্মীরে নওশেরার লাম সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control) পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। সেই চেষ্টা বিফল করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। সংঘর্ষে মারা গিয়েছে এক জঙ্গি। নিহত জঙ্গির সঙ্গে থাকা একাধিক জিনিস উদ্ধার হয়েছে।
শনিবারও গ্রেফতার জঙ্গি:
শনিবারও উত্তপ্ত ছিল কাশ্মীর। গতকাল উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলা থেকে দুইজন জঙ্গিকে (Militant) ধরে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ এবং সেনার যৌথ বাহিনী। বান্দিপোরা থেকে শ্রীনগর যাচ্ছে ওই জঙ্গি, এই খবর পাওয়ায় পরেই অভিযান চালায় পুলিশ। নাকা তল্লাশি শুরু হয়। তখনই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহ হয় নিরাপত্তা বাহিনীর। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের পাকড়াও করে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে একটি একে ফর্টিসেভেন (AK 47), ২টি ম্যাগাজিন, ৩০টি কার্তুজ এবং একটি পিস্তল।
গত মাসেও একাধিক এনকাউন্টার হয়েছে কাশ্মীরে। ২৮ এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এনকাউন্টার হয়েছিল। নিহত দুই স্থানীয় জঙ্গি। উদ্ধার দুটি একে-৪৭ রাইফেল। নিহতরা জঙ্গি সংগঠন আল-বদরের সদস্য। রাতভর চলে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই জঙ্গির। এর আগে জম্মুতে সিআইএসএফ-এর বাসে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। মৃত্যু হয়েছিল সিআইএসএফ-এর এক এএসআই-এর। বারামুলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পাঁচ জঙ্গির। গত মাসেই শ্রীনগরের কাছে বদগামে জঙ্গিদের গুলিতে আহত হন এই রাজ্যের দুই নাগরিক। তাঁদের বাড়ি মালদার চাঁচলে। ভাল মজুরির আশায় দু’জনেই আপেল গাছের পরিচর্যার কাজ করতে কাশ্মীরে পাড়ি দিয়েছিলেন। বদগামে একই ভাড়া বাড়িতে দুজন থাকতেন।
আরও পড়ুন: খুলে গেল বদ্রীনাথ ধাম, প্রথম দিনেই উপচে পড়ল ভিড়