নয়াদিল্লি: ব্যাট হাতে ২২ গজে দাপট দেখিয়ে ভারতের বহু সাফল্যের কারিগর তিনি। ক্রিকেট ছেড়ে রাজনীতিতে নেমে গেরুয়া শিবিরের সাংসদ হওয়ার পরও সমাজসেবায় সদাসক্রিয় তিনি। গৌতম গম্ভীর। নিজের সংসদীয় কেন্দ্র পূর্ব দিল্লির দুঃস্থ জনসাধারণের শস্তায় খাবারের বন্দোবস্ত করলেন তিনি। গম্ভীর জন রসোই চালু করছেন, যেখানে ১ টাকায় খাবার মিলবে। বৃহস্পতিবার প্রথম এমন ক্যান্টিনের উদ্বোধন করবেন তিনি। গাঁধীনগরে। পরেরটা চালু হবে প্রজাতন্ত্র দিবসে, অশোক নগরে। তাঁর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সবসময় মনে করি, জাত-ধর্ম-সম্প্রদায় ও আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে প্রত্য়েকেরই স্বাস্থ্যকর ও ভাল গুণমানের খাবার পাওয়ার অধিকার আছে। এটা দেখে খুব কষ্ট হয় যে, গৃহহীন, দুঃস্থ লোকেরা দিনে দুমুঠো খাবারও পান না! পূর্ব দিল্লির ১০টি বিধানসভা এলাকায় অন্তত একটি করে জন রসোই ক্যান্টিন চালু করার প্ল্যান তাঁর আছে বলে জানান গম্ভীর।
তাঁর দপ্তর সূত্রে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গাঁধী নগরের জন রসোইটি হবে পুরোপুরি আধুনিক ব্যবস্থা, পরিষেবাসম্পন্ন ক্যান্টিন। যেখানে মাত্র ১ টাকায় খাবার পাবেন দুঃস্থ লোকজন। গাঁধীনগর দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি জামাকাপড়ের বাজারগুলির অন্যতম। সেখানে একসঙ্গে বসে খেতে পারবেন ১০০ জন, তবে কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতিতে দূরত্ববিধি মানতে বর্তমানে মাত্র ৫০ জন একসঙ্গে বসতে পারবেন।
মেনুতে থাকবে ভাত, সব্জির তরকারি ও মুসুর ডাল।
পুরো প্রকল্পটি চলবে গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশন ও সাংসদের ব্যক্তিগত আর্থিক অনুদানে, কোনও সরকারি অনুদান নেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে।
গম্ভীর বলেছেন, কয়েকটি রাজ্যে এধরনের ক্যান্টিন আছে যেখানে সরকারি ভরতুকি দিয়ে গরিবদের খাবার দেওয়া হয়, কিন্তু দেশের রাজধানী শহরেই এমন কোনও পরিষেবা নেই, যেখানে গরিব মানুষ কম দামে ভাল খাবার পাবেন। লকডাউনের সময়েও দেখেছি, হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে খাবার ও অন্যান্য মৌলিক পরিষেবার অভাবে এ শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে। তিনি চান, দিল্লির প্রতিটি মানুষ ভাল খাবার, পরিচ্ছন্ন জল পান।