পটনা : ভাল ফলের কথা বলেছিলেন। কিন্তু, বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ খাতাই খুলতে পারেনি প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরয। ভোট ময়দানে মুখ থুবড়ে পড়ার পর এই প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রশান্ত। দল সৎভাবে চেষ্টা করা সত্ত্বেও ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া তাঁর এবং এর দায় তিনি নিজেই নেন। হাই ভোল্টেজ এই নির্বাচনে ২৩৮টি আসনে লড়াই করেছিল জন সূরয। কিন্তু,একটি আসনেও জিততে পারেনি। মাত্র ৩.৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েই থামতে হয়েছে তাদের। 

Continues below advertisement

ভোটে বিপর্যয়ের পর এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন জন সূরয সুপ্রিমো প্রশান্ত। তিনি বলেন, "আমরা খুব সৎ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এটা স্বীকার করতে কোনও ক্ষতি নেই। পদ্ধতিগত পরিবর্তনের কথা ভুলে যান। আমরা ক্ষমতার পরিবর্তনও আনতে পারিনি। কিন্তু বিহারের রাজনীতি পরিবর্তনে আমরা অবশ্যই কিছু ভূমিকা পালন করেছি।" ভোটের যা ফল হয়েছে তার সম্পূর্ণ দায় নিয়ে প্রশান্ত বলেন, আমাদের প্রচেষ্টায় নিশ্চয়ই কোনও ভুল আছে।  আমাদের মতে, যেভাবে আমরা ব্যাখ্যা করেছি তাতে জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেনি। জনগণই যদি আমাদের উপর বিশ্বাস না রাখেন, তাহলে তার সম্পূর্ণ দায় আমার। আমি নিজে ১০০ শতাংশ দায় নিচ্ছি যে, আমি বিহারের মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারিনি।" 

তাঁর সংযোজন, "বিহারের জনগণকে আমি ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছি যে, কোন ভিত্তিতে তাদের ভোট দেওয়া উচিত এবং কেন তাদের একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত। অতএব, প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে, আমি ২০ নভেম্বর গান্ধী ভিতিহারওয়া আশ্রমে এক দিনব্যাপী নীরব উপবাস পালন করব... আমরা ভুল করতে পারি, কিন্তু আমরা কোনও অপরাধ করিনি।"

Continues below advertisement

শিক্ষা থেকে রোজগারের মতো বিষয়কে সামনে রেখে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে প্রশান্তর দলকে। সেই নিয়ে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি উদয় সিংহ। তাঁর দাবি, ভোটে জিততে বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের টাকাই ঘুরপথে ব্যবহার করা হয়েছে বিহারে।

সাংবাদিক বৈঠকে উদয় বলেন, “জুলাই থেকে নির্বাচন ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত ভোট কিনতে ৪০ হাজার কোটি টাকা বিলিয়েছে। জনগণের টাকায় ভোট কিনেছে নীতীশ কুমারের সরকার। অভূতপূর্ব ঘটনা। বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে যে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ মিলেছিল, ভাতা, খয়রাতি হিসেবে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাও।” Bihar Elections 2025