নয়াদিল্লি: কথায় বলে 'যস্মিন দেশে যদাচার'! গত কাল অর্থাৎ শনিবারের, G20 Gala নৈশভোজে যেন সেই আপ্তবাক্য মেনেই এসেছিলেন জাপানের ফার্স্ট লেডি (Japanese First lady) ইয়ুকো কিশিদা। পরনে ভারতের ঐতিহ্যশালী সবজু সিল্ক শাড়ি (Japanese First lady In saree)। শাড়ির মধ্যে ছিল সোনালি কারুকাজ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) পাশে অনন্য সুন্দর লাগছিল জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার স্ত্রীকে। ইয়ুকোকে সাজে মুগ্ধ নেটদুনিয়া।


অনন্য সাজে...
রাষ্ট্রপতির তরফে আয়োজিত নৈশভোজে ভারতীয় সঙ্গীতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। খাবারের মধ্যে ছিল ফোর-কোর্স মিল। একাধিক বাজরার পদ ছিল তালিকায়, খবর সূত্রে। সেই অনুষ্ঠানে ভারতীয় ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে সবুজ সিল্কের শাড়ির সঙ্গে মানানসই ম্যাজেন্টা রংয়ের ব্লাউজ পরেন জাপানের ফার্স্ট লেডি। সঙ্গে ছিল ছোট টিপ। হাতে একটি 'ক্লাচ'-ও নিয়েছিলেন। 'লুক'-এর মধ্যে যেন কোনও খামতি না থাকে তা নিশ্চিত করতে পরিপাটি করে সেজেছিলেন ইয়ুকো কিশিদা। 'ভারতীয় মণ্ডপম'-এ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বামী  ফুমিও কিশিদাকে নিয়ে ছবিও তোলেন তিনি। তবে শুধু জাপানের ফার্স্ট লেডি নন। গত কালের নৈশভোজের জন্য় বিদেশিনী অভ্যাগতদের অনেককেই ভারতীয় পোশাক বেছে নিয়েছিলেন। 


আর কারা...
ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ডের এমডি, ক্রিস্তালিনা জর্জিভা যেমন এসেছিলেন সালোয়ার কামিজে। 'পার্পল' রংয়ের সালোয়ার কামিজের সঙ্গে 'বেজ' রংয়ের ওড়নায় একেবারে অন্য রকম লাগছিল তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার স্ত্রী, সেপো মোস্তেফ আবার সেজেছিলেন ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাকে। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী স্ত্রী কবিতা জুগনউথকে জমকালো শাড়িতে দুর্দান্ত দেখাচ্ছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেছে নিয়েছিলেন বাংলা-তথা ভারতের ঐতিহ্যশালী শাড়ি। সঙ্গে মানানসই মুক্তোর হার। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি অবশ্য শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরেননি। কিন্তু তাঁর পোশাকে ঐতিহ্যের ছোঁয়া স্পষ্ট ছিল। প্রসঙ্গত, এ দিন, রবিবার ভোরবেলা স্ত্রীকে নিয়ে অক্ষরধাম মন্দির-দর্শনে বেরিয়ে পড়েন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য মন্দির চত্বর-সংলগ্ন এলাকা জুড়ে আঁটসাঁট সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হয়। পুজো দিয়ে সোজা রাজঘাটে পৌঁছে যান ঋষি।তিনি যে মন্দির-দর্শনে যেতে ইচ্ছুক, সে কথা গত কালই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। সঙ্গে বলেন, 'হিন্দু পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। এভাবেই বড় হয়েছি, এটাই আমি। আসা করব, আগামী যে কয়েকদিন এখানে রয়েছি তার মধ্যে মন্দির-দর্শনে যেতে পারব। কিছু দিন আগেই রাখীবন্ধন ছিল। সুতরাং আমার বোন ও কাজিনদের থেকে সবকটি রাখিও পেয়েছি', বলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি যে জন্মাষ্টমী উদযাপনের সময় পাননি, সে কথাও জানিয়েছিলেন ঋষি। মন্দির-দর্শন করে সেই আক্ষেপই মেটাতে চান, দেন সেই বার্তাও। তার পর রবিবার ভোরের অক্ষরধাম-যাত্রা।


আরও পড়ুন:পোস্ট-ডেলিভারি পর্বে সদ্যোজাতর সঙ্গে মায়েরও সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন, কী কী রাখতে পারেন ডায়েটে?