মা হওয়া কী মুখের কথা...
সত্যিই একথা একদম অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। গর্ভে সন্তান থাকার সময় একরকম। আবার সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর আর একরকম। শারীরিক পরিস্থিতির পাশাপাশি মানসিক অবস্থাতেও আসে অনেক পরিবর্তন। সদ্যোজাতর যেমন সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন, তেমনই সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেও মায়ের দরকার সঠিক পুষ্টি। যেহেতু জন্মের পর একদম প্রাথমিক স্তরে নবজাতক ব্রেস্টফিডিংয়ে অভ্যস্ত থাকে, তাই মায়ের সঠিকভাবে পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। কারণে তাহলেই সন্তানও সঠিক পুষ্টি পাবে। পোস্ট-ডেলিভারি (Post Delivery) অর্থাৎ সন্তান জন্মের পরের পর্যায়কে বলা হয় Postpartum Phase। এটি একটি ট্রান্সফরম্যাটিভ পর্যায়। নতুন মায়েদের এইসব একাধিক পরিবর্তন হয় শরীর এবং মনে।
সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের শরীরের অনেক টিস্যু নষ্ট হয়। তবে তা মেরামত সম্ভব। তার জন্য সঠিকভাবে পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। শুধু যে নতুন মায়েরা এইসব খাবার খেলে শারীরিক ভাবে সবল হবেন তাই নয় বজায় থাকবে সঠিক দৈহিক ওজন, ফিরে পাবেন শক্তি, সন্তানকে স্তন্য পান করাতেও সুবিধা হবে। এর পাশাপাশি বজায় থাকবে মানসিক স্থিরতা।
পোস্ট ডেলিভারি পর্বে মা এবং সন্তানের সঠিক পুষ্টির জন্য সুষম আহার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কী কী খেতে পারেন, রইল তারই তালিকা
বিভিন্ন বীজ দিয়ে তৈরি লাড্ডু- মেথি কিংবা মৌরি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করতে পারেন লাড্ডু। তার সঙ্গে যোগ করুন ঘি এবং ড্রাই ফ্রুটস। এই খাবার মুখে স্বাদ ফেরানোর পাশাপাশি postpartum recovery- তেও কাজে লাগবে। একাধিক পুষ্টি উপকরণ এই লাড্ডুর মধ্যে দিয়ে পৌঁছোবে আপনার শরীরে।
খিচুড়ি- চাল এবং ডালের সংমিশ্রণে তৈরি এই খাবার সহজপাচ্য। স্বাদের জন্য দিতে পারেন জিরে এবং হিং। অনেকে সবজি দিয়েও খিচুড়ি বানিয়ে থাকেন। এই খাবার নতুন মায়েদের শরীরে পুষ্টির যোগান দেবে। সহজপাচ্য হওয়ায় অন্যান্য সমস্যাও থাকবে না। তাই খিচুড়ি খেতে পারেন। মেথি এবং মৌরি, এই দুই উপকরণ সবে মা হয়েছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের খাবারে রাখুন।
বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম- সন্তান জন্ম দেওয়ার পরের পর্যায়ে নতুন মায়েরা খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম। আমন্ড, আখরোট, কাজু, কিশমিশ, খেজুর- এইসব খেলে সদ্যোজাতকে ব্রেস্ট ফিড করাতে সুবিধা হবে। আপনি এনার্জি পাবেন। সহজে ক্লান্ত হবেন না। প্রয়োজনীয় ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণ থাকে এইসব খাবারে।
খাবারে রাখুন আদা- পোস্ট ডেলিভারি পর্বে বদহজম এবং প্রদাহজনিত অর্থাৎ অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে। তাই খাবারের মধ্যে আদা রাখলে স্বাদ, গন্ধের পাশাপাশি বেশ কিছু পুষ্টিগুণ পৌঁছোবে আপনার শরীরে।
তথ্যসূত্র- IANS
আরও পড়ুন- হাইকোলেস্টেরল মানেই কি ডায়েট থেকে সুস্বাদু সব বাদ? জেনে নিন কী বলছেন পুষ্টিবিদরা