ওয়াকাহামা : জাপানের ওয়াকাহামায় প্রধানমন্ত্রীর সভার বাইরে বিস্ফোরণ। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Japan's Prime Minister Fumio Kishida)। স্মোক বম্বের জোরাল আওয়াজে আতঙ্ক, খবর সূত্রের। জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ এলাকায়। বিস্ফোরণের ঘটনায় ১ সন্দেহভাজন আটক। জানা যাচ্ছে, ওয়াকাহামায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখার মাঝে ঘটনাটি ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিছু একটা ছুড়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে। যারপরই সেখান থেকে প্রবল ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। কেউ কেউ বলছেন, একজনই চালিয়েছেন যে আক্রমণ, আবার অনেকের মতে বেশ কয়েকজন ছিল সেই দলে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্মোক বোমা ছোড়া হয়েছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। কীভাবে এই আক্রমণ, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ (Police)।


এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর এক ব্যক্তিকে মাটিতে আছড়ে ফেলে ঘিরে ফেলেছেন নিরাপত্তকর্মীরা। পরে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম রুয়াজি কিমারা। বয়স ২৪ বছর। ঠিক কী কারণে, সে আক্রমণ চালিয়েছে, তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। যে ঘটনায় কেউ আহত না হলেও তৈরি হয়েছে তীব্র আতঙ্ক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর আক্রমণ নেমে এসেছে ও যে ভঙ্গিতে তাতে তাঁরা আতঙ্কিত।


ভোটপ্রচারের মাঝে নেমে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের শিকার হওয়া নিয়ে শাসক-বিরোধী নির্বিশেষে প্রবল সমালোচনা করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীরা আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে নিরাপত্তা নিয়েও। কারণ, এক প্রচার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের খুন হওয়ার ঘটনা এখনও টাটকা জাপানবাসীর মনে।


গত বছরের জুলাই মাসে দুষ্কৃতী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের। জাপানে নারা শহরে বক্তব্য রাখার সময় হঠাৎ গুলি করা হয় তাঁকে। গুলি খেয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েছিলেন শিনজো আবে। তখনও অবশ্য তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, সেইসময় পালমোনারি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টও হয়েছিল তাঁর। যে ধাক্কা আর সামলাতে পারেননি শিনজো আবে। স্বাস্থ্যের কারণে পদত্যাগ করার আগে পর্যন্ত দীর্ঘদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পর ফের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা। রাজনৈতিক নেতৃত্বদের এভাবে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা জাপানে যেন বাড়ছে।


আরও পড়ুন- এক বছরের সবেতন ছুটি ! অফিসের লাকি ড্র'য়ে বাম্পার প্রাইজে সোশালে শোরগোল