কলকাতা: ফেলুদার ছিন্নমস্তার অভিশাপ পড়া শেষ। রবীন্দ্রনাথের পোস্টমাস্টার-ও। খুব ভাল লেগেছে সর্ষে ইলিশ আর মোচার ঘন্ট। না, কোনও বাঙালির কথা হচ্ছে না এখানে। যাঁর কথা বলছি তিনি নিখাদ জাপানি, নাম সাকুরা ইশিকাওয়া। ঝরঝরিয়ে বাংলা বলেন সাকুরা, আমার আপনার মতই।

সাকুরার ভিডিওটি পোস্ট করেছেন অপূর্ব দাস নামে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত এক ব্যক্তি। জাপানের রাস্তায় কথা হচ্ছে তাঁদের, সাকুরা জানাচ্ছেন, তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়তেন, থাকতেন গোলপার্কে, বিশ্ববিদ্যালয়ে হেঁটে যেতেন। এখন তিনি চাকরি করেন টিসিএস জাপানে। নিজের আগ্রহে বাংলা শেখা। হিন্দিও শিখছেন কিন্তু বাংলার মত লাগেনি। তাঁর মতে, বাংলায় ভাবপ্রকাশের উপায় অনেক বেশি, বাংলা অনেক ধনী ভাষা।

পথের পাঁচালী দেখেছেন সাকুরা। ফেলুদা সমগ্র আছে তাঁর, গ্যাংটকে গন্ডগোল, ছিন্নমস্তার অভিশাপ পড়া। রবীন্দ্রনাথ পড়েছেন, পোস্টমাস্টার ভাল লেগেছে। অল্পস্বল্প কবিতাও পড়া।  আর ভাল লেগেছে সর্ষে ইলিশ। জাপানি মাছের সঙ্গে ইলিশের স্বাদের মিল আছে কিন্তু সর্ষের স্বাদ তো জাপানে মেলে না। ভাল লেগেছে বাড়ির খাবার। রসগোল্লা প্রথমবার তেমন ভাল না লাগলেও পরেরবার বেশ লেগেছে।

দেখুন সাকুরার ভিডিও