কোচি: কেরলে ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁঠাল। কোচির একটি হাসপাতালের গবেষকদের দাবি, প্রতিদিন এঁচোড়ের দানার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি খাবার খেলে ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপির যন্ত্রণা কমে যায়, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অসাড় হয়ে যায় না এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও কমে যায়। রোমে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনাসভায় এই গবেষণাপত্র পেশ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান দিয়েগোতে কয়েকদিন পরে হতে চলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্সার গবেষকদের আলোচনাসভাতেও এই গবেষণাপত্র পেশ করা হচ্ছে। ভারতীয় ক্যান্সার গবেষণা সংস্থার আলোচনাসভাতেও এই গবেষণাপত্র পেশ করা হয়েছে।


আয়ুর্বেদে কাঁঠালের গুণের কথা উল্লেখ রয়েছে। এবার কেরলের গবেষকরাও বলছেন, কাঁঠালে ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ আছে। কোচির ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের জুন থেকে কেমোথেরাপি নেওয়া রোগীদের উপর গবেষণা চালানো হয়েছে। তাতেই দেখা গিয়েছে, এঁচোড়ের দানার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি খাবার খেয়ে ক্যান্সার আক্রান্তদের উপকার হচ্ছে।

ক্যান্সার আক্রান্তদের বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখা এবং উপসর্গ কমানোর লক্ষ্যে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। কিন্তু কেমোথেরাপির ফলে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪৩ শতাংশ ক্যান্সার রোগী কেমোথেরাপি নেওয়ার পরে মোটা হয়ে যান, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া বা মুখে ঘা হয়। ওই হাসপাতালে কেমোথেরাপি নিতে আসা রোগীদের প্রতিদিন সকালে ও রাতে খাবারের সঙ্গে ৩০ গ্রাম করে এঁচোড়ের দানার গুঁড়ো খেতে দেওয়া হয়। গবেষক দলের প্রধান চিকিৎসক টমাস ভার্গিজ জানিয়েছেন, ক্যান্সার আক্রান্তদের বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া অনেক কমে গিয়েছে। এঁচোড়ে পেকটিন থাকে, যা রোগ উপশমে সাহায্য করে।

এর আগে তিরুঅনন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, এঁচোড়ের স্টু (কেরলের একটি জনপ্রিয় খাবার) খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া এঁচোড় খেলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই গবেষক দলে ছিলেন মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেমস জোশেফ। তিনি ক্যান্সার রোগীদের উপর এঁচোড়ের প্রভাব নিয়েও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।