নয়াদিল্লি: সোনু নিগমের পর মাইকে আজান বাজানোয় আপত্তি প্রকাশ করে বিতর্কে জাভেদ আখতার। বলিউডের এই নামী গীতিকার ট্যুইট করেছেন, লাউডস্পিকারে আজানের প্রার্থনা বন্ধ হওয়া উচিত কেননা এতে অন্যের ‘অসুবিধা’ হয়। কেন দেশে ৫০ বছর ধরে এটা হারাম অর্থাত নিষিদ্ধ থাকলেও চলে আসছে, তাতে বিস্ময় জানান তিনি।
এতে তেলেবেগুনে চটে গিয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) নেতা আসিম ওয়াকার তাঁকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি মুসলিম নন বলে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, ওনার সঙ্গে আরএসএসের যোগ আছে, এখনকার শাসক দলের কাছ থেকে রাজ্যসভার আসন পাওয়ার লোভে তিনি মুসলিমদের বিরোধিতা করছেন।


শনিবারের ট্যুইটে আখতার লেখেন, গত প্রায় ৫০ বছর ধরে ভারতে লাউডস্পিকারে আজান হারাম বা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এটা হালাল বা অনুমোদিত। তাই এর অবসান হচ্ছে না। কিন্তু এটা বন্ধ হওয়া উচিত। আজান ভাল, কিন্তু লাউডস্পিকার বাজলে তা অন্যের অসুবিধার কারণ হয়ে ওঠে। আশা করব, অন্তত এবার ওরা নিজেরাই এটা বন্ধ করবে।
সোস্যাল মিডিয়ায় একজন তাঁকে ট্যুইটের প্রেক্ষিতে ‘মন্দিরে যে মাইক, লাউডস্পিকার বাজে, তার বেলা’, প্রশ্ন করলে তিনি এটা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে গেলে উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেন। লেখেন, মন্দির বা মসজিদ, যেখানেই হোক, কোনও উতসব, পার্বণে বাজলে ঠিক আছে। কিন্তু মন্দির বা মসজিদে রোজ লাউডস্পিকার ব্যবহার করা উচিত নয়। হাজার বছরের ওপর লাউডস্পিকার ছাড়াই আজান হয়েছে। আজান আপনার ধর্মবিশ্বাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ, কিন্তু যন্ত্রটা নয়।

আখতার এর আগেও ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। ৭৫ বছর বয়সি লেখক গত মার্চে কাবা, মদিনায়ও করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে করা হয়েছে বলে সওয়াল করে দেশে মসজিদ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন, রমজান মাসে ঘরে বসেই প্রার্থনা করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন মুসলিমদের।
বলিউডের লোকজনের মধ্যে কয়েক বছর আগে ভোরে আজানে মাইক বাজলে অসুবিধা হয় বলে মন্তব্য করে কট্টরপন্থীদের রোষে পড়তে হয়েছিল গায়ক সোনু নিগমকে।