কেরল : বিবাহবিচ্ছেদের সময় অনেকেই নিজের জিনিসপত্র শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরত চান। অনেকেই দাবি করেন, বিয়ের পর তাঁর গয়না স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির কাছে গচ্ছিত রেখেছেন। তাই এই গয়না তাঁকে ফেরত দিতে হবে। কিন্তু কখন এই দাবি করা যাবে। কোন পরিস্থিতিতে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া মহিলার দাবি আইন সম্মত হবে। এই বিষয়ক একটি মামলায় অন্যরকম রায় দিল কোর্ট। 


বিবাহবিচ্ছেদের একটি মামলা চলছিল কেরল হাইকোর্টে । সেখানে গয়না ও অন্যান্য সামগ্রী ফেরত দেওয়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত জানাল কেরল হাইকোর্ট। রায় দেওয়ার সময় আদালত বলে, স্ত্রীকে অর্থাৎ এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে প্রমান করতে হবে যে তিনি স্বামীকে তাঁর অলঙ্কারগুলি হস্তান্তর করেছেন । অর্থাৎ বিয়ের পর তিনি যে তাঁর গয়না স্বামী বা শ্বশুরবাড়িকে দিয়ে দিয়েছেন, তার প্রমাণ পেশ করতে হবে আদালতে।  তখনই তিনি তাঁর স্বর্ণালঙ্কার এবং সামগ্রী ফেরত চাইতে পারেন। মুখের কথা এক্ষেত্রে গ্রাহ্য হবে না। এমনকী বিয়ের গয়না পরা ছবিও এক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রমাণ নয় বলেই পর্যবেক্ষণ আদালতের।                                                                   

পারিবারিক আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলায় পিটিশন খারিজ করে দিয়ে কেরল হাইকোর্ট এই মন্তব্য করেছে। বিচারপতি অনিল কে নরেন্দ্রন এবং পিজি অজিত কুমারের বেঞ্চ মামলার শুনানির হয় । সেই সময় বিচারপতি বলেন যে, স্বামীর নামে তৈরি লকারে স্ত্রীর সোনার অলঙ্কারগুলি তার কাছে হস্তান্তর করার সমতুল্য হতে পারে না। আবেদনকারী মহিলা দাবি করেন, বিয়ের সময় বেশ কিছু অলঙ্কার তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। ওই আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট জানায়, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরতের দাবি করা যাবে না। স্বামীর কাছে স্বর্ণালঙ্কার হস্তান্তরের সত্যতা প্রমাণিত হলেই স্ত্রী তা ফেরতের  দাবি করতে পারবেন।  আদালতের তরফে জানানো হয়, বিয়ের সময় কনে স্বর্ণালঙ্কার পরেছিলেন এমন প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যাবে না যে বিয়ের সময় পরা অলঙ্কার বরের বাবা ও মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাই আবেদন নাকোচ করে দেয় কেরল হাইকোর্ট।