নয়াদিল্লি: পুলওয়ামা হামলার দিনকে স্মরণ করে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। ঠিক আজকের দিনেই ২০১৯ সালে হামলা হয়। আর সেই স্মৃতির শহরটাকেই ফিরে দেখলেন এদিন মোদি। টুইটে তিনি বলেছেন, 'বীরদের আত্মত্যাগ ভোলার নয়।'


তিনি এদিন টুইটে বলেন, 'পুলওয়ামা হামলায় এইদিনে আমরা, আমাদের বীরদের হারিয়েছি। তাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ আমরা কখনও ভুলব না। তাঁদের সাহস আমাদের শক্তিশালী ও উন্নত ভারত গড়তে অনুপ্রাণিত করে।'






প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের নিরাপত্তাকর্মীদের বহনকারী একটি গাড়ি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার জেলার লেথোপোড়া অতিক্রমকালে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে একটি বাহন বাহিত আত্মঘাতী বোমা হামলার শিকার হয়। এই হামলাকাণ্ডে  ৪০ জন সিআরপিএফ কর্মী এবং আক্রমণকারীর মৃত্যু হয়। 


তবে এখানেই শেষ নয়, বাইশ সালেও নেমে আসে যন্ত্রনা মুখর প্রহর। বাইশের অক্টোবার মাসে  ফের রক্তাক্ত হয় উপত্যকা । জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পুলওয়ামা (Pulwama) জেলায় জঙ্গি হামলায় (Terror Attacks) শহিদ হন এক পুলিশকর্মী । জখম হন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) এর এক কর্মী।


ট্যুইটারে কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে জানানো হয়, পুলওয়ামার পিঙ্গলানায় সিআরপিএফ ও পুলিশ যৌথ নাকা চেকিং চালানোর সময় গুলি চালায় জঙ্গিরা। তখনই এক পুলিশকর্মী শহিদ হন। এবং এক সিআরপিএফ জওয়ান জখম হন। ঘটনার পর ওই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। শোপিয়ান এনকাউন্টারের (Shopian Encounter) কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের এই ঘটনার মুখোমুখি হয় উপত্যকা।


আরও পড়ুন, আজ ভ্যালেনটাইন্স ডে-তে পেট্রোল-ডিজেলে পকেট বাঁচাবে কোন শহর ?


মূলত, শোপিয়ানে তিন ঘণ্টার অপারেশনে এক লস্কর জঙ্গিকে খতম করা হয়।বারামুল্লায় জইশ ই মহম্মদের দুই জঙ্গিকে গুলি করে খতম করে নিরাপত্তাবাহিনী। সংশ্লিষ্ট জেলার পাট্টান এলাকার ইয়েদিপোরা গ্রামে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এরপর সেনা ও পুলিশ ও সশস্ত্র সীমা বলের তরফে ওই এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয়।  পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, উভয়পক্ষের এনকাউন্টারে স্থানীয় স্তরের দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। আর এর পরেই জঙ্গি তরফে পাল্টা হামলায় বিষাদের ছায়া ছড়িয়ে পড়ে উপত্যকায়।