নয়াদিল্লি: দেশে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভরের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু এর যোগান চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এই পরিস্থিতিতে রেমডিসিভরের আমদানির জন্য ঝাড়খণ্ড সরকার বাংলাদেশের কিছু ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন, এই ওষুধ বিদেশ থেকে কিনতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের অনুমতি চেয়েছে।


হেমন্ত সোরেন তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, ঝাড়খণ্ডে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের পরিপ্রেভিতে রেমডিসিভর ওষুধের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে। জরুরিকালীন ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ৫০ হাজার ভয়াল কেনার জন্য বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়কে চিঠি লিখে এই ওষুধগুলির দ্রুত আমদানির অনুমতি চেয়েছি।



উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় কার্যকরী হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে রেমডিসিভরকে। দেশে এখন এই ওষুধের অপ্রতুলতা রয়েছে বলে খবর। আর এ কারণে দেশের বেশ কিছু জায়গা থেকে এই ওষুধের কালোবাজারির অভিযোগ উঠে আসছে।


ওষুধ কোম্পানিগুলি সরকারের হস্তক্ষেপে রেমডিসিভর ইঞ্জেকশনের দাম কিছুটা কমিয়েছে। এনপিপিএ শনিবার জানিয়েছে যে, সরকারের হস্তক্ষেপের পর ওষুধ কোম্পানিগুলি  কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় রেমডিসিভর ইঞ্জেকশনের দাম কমিয়েছে। কেডিলা হেল্থকেয়ার, ড. রেড্ডিস ল্যাবরেটরি ও সিপলা রেমডিসিভর ইঞ্জেকশনের তাদের নিজ নিজ ব্র্যান্ডের দাম কমিয়েছে।


কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ণমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া ওষুধ কোম্পানিগুলির এই পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেন, চলতি সংকটজনক পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ মানুষকে স্বস্তি দেবে। সরকারের হস্তক্ষেপে রেমডিসিভরের দাম কমল। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা পাশে দাঁড়ানোয় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।



উল্লেখ্য, দেশে প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে করোনা সংক্রমণ। পরপর দু’ দিন একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছাড়াল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন। করোনায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৭৮ জন।