রাঁচি : আজ, সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় (Jharkhand Assembly) আস্থা ভোট (Floor Test)। সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে চম্পই সোরেন সরকারকে। তার আগে রবিবার হায়দরাবাদ থেকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে ফিরলেন জেএমএম-কংগ্রেস ও আরজেডি জোটের বিধায়করা। শুক্রবার থেকে হায়দরাবাদে রাখা হয়েছিল তাঁদের। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি 'অপারেশন লোটাস' (Operation Lotus) চালিয়ে ঘোড়া কেনাবেচা করতে পারে, এই আশঙ্কায় জেএমএম-কংগ্রেস ও আরজেডি জোটের বিধায়কদের স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। রবিবার চার্টার্ড বিমানে রাঁচির বীরসা মুণ্ডা বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা। এরপর দু'টি বাসে করে তাঁদের শহরের সার্কিট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর।


 






শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (Jharkhand Mukti Morcha) বর্ষীয়ান নেতা চম্পই সোরেন। এরপরই বিধায়কদের স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার রাতে সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।


প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ৮১ আসন-বিশিষ্ট। এর মধ্যে শাসক জোটের রয়েছে ৪৭ জন বিধায়ক। বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ৪১ বিধায়কের সমর্থন । চম্পই সোরেন সরকারকে (Champai Soren Government)  সমর্থন জানাচ্ছেন ৪৩ জন বিধায়ক। অন্যদিকে, বিজেপির আছে ২৫ বিধায়ক। অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের রয়েছে তিন জন বিধায়ক । এক জন করে বিধায়ক রয়েছে এনসিপি ও বামেদের। এছাড়া রয়েছেন তিন নির্দল বিধায়ক। 


সংখ্যা-গরিষ্ঠতার সামান্য ব্যবধান চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় শাসক শিবিরের। যদিও বুধবার সন্ধেয় হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই শাসক নেতৃত্ব দাবি করে আসছেন, সরকার গঠনে তাঁদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।


চম্পই সরকার বলেছেন, "আমরা ৪৩ বিধায়কের সমর্থনের রিপোর্ট (রাজ্যপালকে) জমা দিয়েছি। আশা করছি, এই সংখ্যাটা ৪৬-৪৭-এ পৌঁছে যাবে। কাজেই আর কোনও সমস্যা থাকবে না। আমাদের জোট খুব শক্তিশালী।" এদিকে এমন জল্পনাও রয়েছে যে, দুই জেএমএম বিধায়ক ভোটাভুটি এড়াতে পারেন। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে অক্টোবর-নভেম্বর মাস নাগাদ বিধানসভা ভোটে হওয়ার কথা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে