নয়াদিল্লি: জর্ডনের ড্রোন হানায় (Jordan Drone Attack) প্রাণ হারালেন মার্কিন নিরাপত্তাবাহিনীর ৩ সদস্য, সম্ভাব্য 'ট্রম্যাটিক ব্রেন ইনজুরি'  অন্তত ৩৪ জনের। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (President Joe Biden) স্বয়ং এই দাবি করায় আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। গত অক্টোবর থেকে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যে সংঘাত চলছে, তার পরিসর বাড়ছিলই। হামাসের সমর্থক বলে পরিচিত ও ইরানের মদতপুষ্ট, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলাও চালায় আমেরিকা এবং ব্রিটেন। তবে শনিবার রাতের আগে পর্যন্ত এই সংঘাতে কোনও মার্কিন সেনার প্রাণহানি ঘটেনি। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দাবি জানাজানি হতে তাই নতুন শোরগোল শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। এবার কোন দিকে এগোবে পশ্চিম এশিয়ার সংঘর্ষ-পরিস্থিতি?


প্রেক্ষাপট...
বাইডেনের তরফে রবিবার জানানো হয়, সিরিয়ার সীমান্তের কাছে, জর্ডনের উত্তর-পূর্ব দিকে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর উপর  হঠাতই আক্রমণ হানে একটি 'আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল।' শনিবার রাতের ওই হামলাতেই ৩ সেনা সদস্যের প্রাণ গিয়েছে বলে দাবি বাইডেনের। এজন্য ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর দিকে আঙুল তোলেন তিনি। বলেন, 'আমরা এখনও হামলার খুঁটিনাটি জানতে তৎপর রয়েছি। তবে এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, ইরাক এবং সিরিয়ায় সক্রিয় ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীই এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে। '  মার্কিন আধিকারিকদের মতে, ৩৪ জনের সম্ভাব্য 'ট্রম্যাটিক ব্রেন ইনজুরি'-র আশঙ্কা করা হচ্ছে। আপাতত তাঁদের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে খবর। গত অক্টোবরে হামাসের হামলা এবং জবাবে ইজরায়েল গাজায় যে যুদ্ধ শুরু করে, সেই সংঘাতের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মার্কিন সেনার মৃত্যু হল। 
ওয়াশিংটনের অবশ্য দাবি, পশ্চিম এশিয়ায় এই টালমাটাল পরিস্থিতির এখনও সরাসরি 'শরিক' নয় তারা। তবে, ইরানের মদতপুষ্ট, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইতিমধ্যেই হামলা চালিয়েছে  আমেরিকা। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে যে ভাবে হামলা চালাচ্ছিল হুথিরা তার জবাবেই হামলা, দাবি করে আমেরিকা। চলতি মাসের মাঝামাঝি জবাবে হুথিরা জানিয়েছিল, আমেরিকা ও ব্রিটেন এখন 'ন্যায়সঙ্গত কারণে তাদের লক্ষ্য।' ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা আরও দাবি করে, আগ্রাসী শক্তির 'আনন্দ' বেশি দিনের নয়। এর আগেও সংগঠনের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, 'আমাদের ইয়েমেনের উপর যে অপরাধমূলক আগ্রাসন চলছে, তার সম্পূর্ণ দায় আমেরিকা ও ব্রিটেনের। এই আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে।'
তবে শনিবারের হামলার পর আমেরিকাও জানিয়ে দেয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার পালন করবে তারা। পাশাপাশি, যারা এই হামলার নেপথ্যে, তাদেরও এই ঘটনার দায় নিতে বাধ্য করবে। 


আরও পড়ুন:বেঁচেছিলেন ৮২ বছর, অজ্ঞাত অবস্থাতেই মৃত্যু, জীবনে নারী দেখেনইনি এই সন্ন্যাসী