কলকাতা: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বকেয়ার অভিযোগে ফের পথে নামল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। যা ঘিরে ছুটির দিনে তুঙ্গে উঠল তরজা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রবিবার গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করল দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল।


ফের পথে নামল তৃণমূল: এদিনের মিছিলে হাঁটেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ও একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর। মিছিল শেষে হাজরার সভা থেকে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সুর সপ্তমে চড়াল ঘাসফুল শিবির। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে। বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’ এদিকে বঞ্চনা ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন্দ্রের সরকার ঠিক কাজ করেনি। একশো দিন সহ অনেক প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসবও সামলাতে হচ্ছে।’’


কেন্দ্রের কাছে বকেয়ার দাবিতে যখন ধারাবাহিকভাবে পথে নামছে তৃণমূল, তখন তাঁদের বকেয়ার দাবি কবে পূরণ হবে সেদিকে তাকিয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা।  বকেয়া ডিএর দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আর বকেয়া ডিএ-র ইস্য়ুতেই রাজ্য় সরকারকে একযোগে নিশানা করল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর জন্য় সোমবার থেকে লাগাতার ধর্মঘট আপাতত স্থগিত রাখল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে লাগাতার ধর্মঘটের পথে যাবেন সরকারি কর্মীরা। তবে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বকেয়ার দাবিতে কোনওভাবেই সরে দাঁড়াবেন না তাঁরা। এপ্রসঙ্গে সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, "নিজেদের বকেয়া মেটানোর জন্য়, ন্য়ায্য মেটানোর জন্য় কোনওরকম সাড়া শব্দ দিতে পারেন না, তাও আবার সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে। বিগত এক বছর ধরে যাঁরা আলোচনা করার সময় পান না। তাঁরা যখন নিজেদের বকেয়াকে আবার হক বানানোর চেষ্টা করেন যে হকটার মধ্য়ে অনেক কিছু ফাঁকফোকর আছে। কেন্দ্রের কাছে বকেয়ার পরিমাণ কত ওদের আধিকারিকরা একরকম বলেন, মন্ত্রীরা একরম বলেন, জনসভায় একরকম বলেন, প্রেস কনফারেন্স করে আরেকরকম বলেন।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Bankura News: এক দশকের বেশি সময় ধরে থমকে রেলপথ নির্মাণের কাজ, আন্দোলন স্থানীয়দের