নয়াদিল্লি: করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষায় এবার ধাক্কা খেল জনসন অ্যান্ড জনসন। এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে অব্যক্ত বা অজানা অসুস্থতা দেখা দেওয়ার কারণে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন ফার্মা সংস্থার মতোই করোনা ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অবতরণ করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থাও। বর্তমানে তারা ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর "জ্যানসেন" ভ্যাকসিনের ট্রায়াল প্রক্রিয়া প্রয়োগ করছে।
শুধু তাই নয়। নতুন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের জন্য যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, তাও বন্ধ রাখা হয়েছে। ট্রায়ালের ওপর নজরদারির ভারপ্রাপ্ত একটি নিরপেক্ষ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান নতুন করে খতিয়ে দেখতে।
এপ্রসঙ্গে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই স্বচ্ছাসেবকের অসুস্থ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ট্রায়াল প্রক্রিয়া স্থগিত করতে গবেষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এর বেশি কিছু খোলসা করেনি জনসন অ্যান্ড জনসন।
সংস্থা আরও জানিয়েছে, ওই স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয় সংক্রান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া, বিশদে কিছু জানানোর আগে অসুস্থতা সম্পর্কিত তথ্য যাচাই ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাদের মতে, এধরনের গবেষণায় কিছু প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হতেই পারে। কারও মধ্যে দুর্বলতা, অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। কোনও দুর্ঘটনা সহ খারাপ ফলাফল ঘটতে পারে।
যদিও, জনসন অ্যান্ড জনসন দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিনের "স্টাডি পজ" করা হয়েছে, "ক্লিনিকাল হোল্ড" নয়। সংস্থা জানিয়েছে, "ক্লিনিকাল হোল্ড" বিষয়টি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ এবং তার সময়সীমাও দীর্ঘতর।