নয়া দিল্লি : রাজ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য ব্যাপক প্রচার চালিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হয়েছে তৃণমূলের। তা বলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নজর সরেনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। অন্তত দলের কর্মসমিতির বৈঠক থেকে সেই নির্যাসই উঠে এসেছে। "পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নতুন ইতিহাস লিখবে", নেতৃত্বকে এই আশ্বাস দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
আজ রাজধানীতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন- স্বপন দাশগুপ্ত, অনুপম হাজরা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। তাঁদের সামনেই নাড্ডা আশ্বাস দেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আশ্বাস দিতে চাই যে আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব। রাজ্যে আমরা নতুন ইতিহাস রচনা করব।
কর্মসমিতির বৈঠকে বাংলায় হিংসার অভিযোগেও সরব হয় বিজেপি। "বাংলায় ভোটের পর ৫৩ জন কর্মী খুন হয়েছেন। লক্ষাধিক কর্মী ঘরছাড়া। তা সত্ত্বেও বাংলার মানুষ বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রাপ্ত ভোট ৩৮ শতাংশ হয়েছে, ৭৭টি আসন পেয়েছে বিজেপি।" কর্মসমিতির বৈঠকে এই মন্তব্য করেন নাড্ডা। তিনি বলেন, "বাংলায় বিজেপি নতুন অধ্যায় রচনা করবে। বুথ স্তরে কর্মীদের মনের কথা শুনতে হবে।"
এই মর্মে দলের নেতাদের টার্গেট বেঁধে দেন নাড্ডা। ২৫ ডিসেম্বরের আগে বুথ স্তরে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। সভাপতি বলেন, প্রত্যেক বুথে মন কি বাত শুনতে হবে। তাঁর দাবি, প্রত্যেক ভোটে বিজেপির ভোট বেড়েছে। এমনকী জম্মু ও কাশ্মীরেও বিজেপি ভাল ফল করছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে বিজেপি-তে রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগরতলায় অভিষেকের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে পুরনো দলে ফেরেন তিনি। তার আগে তৃণমূলে যোগ দেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। এই অবস্থায় গতকাল জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "আমি বিজেপি ছাড়ছি। এছাড়া আমার কোনও উপায় ছিল না।"