কলকাতা: প্রেসিডেন্সির পর এবার যাদবপুরে ছাত্র-ভোট। ১৯ ফেব্রুয়ারি যাদবপুরের ৩টি ফ্যাকাল্টিতে ছাত্র-ভোট। ২০ ফেব্রুয়ারি ৩টি শাখাতেই ভোট গণনা। এই প্রথম ভোট দিতে পারবেন এম-ফিল পড়ুয়ারারাও। ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না অকৃতকার্য পড়ুয়ারা।
তিন বছর পর, ছাত্র-ভোট ফিরছে যাদবপুরে। গত অক্টোবর মাসে বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্র কল্যাণ বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্সির ভোট হয়। সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল, কেন একসঙ্গেই যাদবপুরের ছাত্রভোট করা হচ্ছে না?
এপ্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই সময়ে একাধিক পরীক্ষা থাকায় ভোট সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। আরও বলা হয়েছিল, সাধারণত যাদবপুরে জানুয়ারি মাসেই ছাত্র-ভোট হয়। সেই প্রথাকে ভাঙার কোনও কারণ নেই। যদিও, সেই প্রথা ভাঙা পড়ছেই। এদিন নির্ঘণ্ট ঘোষনা হতে দেখা গেল, ভোট হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে।
এর আগে, ২০১৭ সালে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ভোট আইন নিয়ে আসে। সেখানে বলা হয়েছিল, জেভিয়ার্সের ধাঁচে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের পরিবর্তে অরাজনৈতিক ছাত্র সংসদ থাকবে।
ছাত্র-সংসদের সংবিধান অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয়রা বাছাই করবে একাধিক পদাধিকারীদের। এই বিষয়টির তীব্র আপত্তি জানায় যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। তারা জানিয়ে দেয়, সংসদের সংবিধান তারা মানবে না। যাদবপুরের পড়ুয়াদের দাবি ছিল, আগের মতোই ছাত্র-ভোট করতে দিতে হবে।
রাজনৈতিক ছাত্র ভোটের দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা। পাশাপাশি, ছাত্রদের দাবি সরকারের কাছে পৌঁছে দেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হওয়ায় হিংসা আশঙ্কায় যাদবপুর সহ একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ভোট স্থগিত রাখে রাজ্য প্রশাসন।