তদন্তে জানা যায়, বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করে ছেলেকে নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন অমিত অগ্রবাল। বন্ধুকে মেসেজ করে ডেকে পাঠান বিমানবন্দরে। অনুরোধ করেন, ছেলেকে বেলঘরিয়ায় দাদা প্রদীপ অগ্রবালের বাড়িতে পৌঁছে দিতে। বন্ধুকে তিনি জানান, তাঁর সেক্টর ফাইভে কাজ রয়েছে এরপর প্রি-পেড ট্যাক্সি বুথ থেকে ক্যাবে চড়ে শ্বশুরবাড়ি যান অমিত।
শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে বচসায় জড়ান অমিত। তারপর ল্যাপটপ ব্যাগ থেকে আগ্নেয়স্ত্র বের করে গুলি চালান। দরজায় লেগে প্রথম গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয় গুলিটি শাশুড়ির মাথায় লাগে। তৃতীয় গুলি নিজের মাথায়।
ঘটনার পর থেকেই অস্ত্র সরবরাহকারীর সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চালায় পুলিশ। তদন্তকারীরা তখন নিশ্চিত ছিলেন, ল্যাপটপ ব্যাগপ্যাকে করেই সরবরাহ করা হয়েছিল সেভেন এমএম পিস্তল এবং ১২টি গুলি ভর্তি দুটি ম্যাগাজিন।
অবশেষে সেই অস্ত্র সরবরাহকারীর হদিশ পেল পুলিশ। বিহারের নওয়াদা থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত পঙ্কজ কুমার জানিয়েছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে একটি পিস্তল ও ১০ রাউন্ড গুলি নিয়ে কলকাতায় আসে সে। সেগুলি তুলে দেয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অমিত অগ্রবালের হাতে।
এর থেকে পরিষ্কার, বহু আগে থেকেই খুনের পরিকল্পনা ছিল অমিতের।