নয়াদিল্লি: শপথগ্রহণে নজর কেড়েছিলেন আগেই। এবার লোকসভার ভাষণেও সকলের নজর কাড়লেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার লোকসভায় ভাষণ দিতে ওঠেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। আর সেখানে বিজেপি-র উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, কটাক্ষ এবং অঙ্গভঙ্গিতে হাস্যরোল উঠল। 'খেলা শুরু হয়েছে' বলে বিজেপি-কে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি। (Kalyan Banerjee)

Continues below advertisement


মঙ্গলবার লোকসভায় ভাষণ দিতে ওঠেন কল্যাণ। সেখানে বিজেপি-কে আগাগোড়া কটাক্ষ করেন তিনি। অহঙ্কারই এবার বিজেপি-কে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়নি বলে দাহি করেন। বিজেপি-র উদ্দেশে কল্যাণ বলেন, "এবার ৪০০ পার বলেছিলেন তো! খেলা তো শুরু হয়ে গিয়েছিল। খেলা তো অনেক রকমের আছে স্যর। চু কিত কিত-ও খেলা। চু কিত কিতে চু ধরা ছিল ৪০০-তে। কিত-কিত-কিত-কিত-কিত-কিত-কিত...কত হল? ২৪০...খেলায় হেরে গেলেন।" (Lok Sabha Session)


এদিন লোকসভায় কল্যাণের পাশে বসেছিলেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। 'আরও খেলা হবে' বলে কল্যাণকে সুর ধরিয়ে দেন তিনি। আর পিছনের আসনে বসে তখন হেসে কার্যত লুটিয়ে পুড়ছেন শতাব্দী রায়, মহুয়া মৈত্র, জন মালিয়ারা। অন্য বিরোধী দলগুলিও কল্যাণকে উৎসাহ দিতে থাকেন। পাল্টা সরকারের তরফে আপত্তি উঠে আসে। 



সেই আবহে স্পিকার ওম বিড়লা কল্যাণকে তাঁর দিকে তাকিয়ে কথা বলতে বলেন। জবাবে কল্যাণ বলেন, "স্যর, আমি তো আপনাকেই দেখছি। আর কাউকে দেখছি না। আপনার চেয়ে বেশি স্মার্ট এখানে কেউ নেই। সকলকে ছেড়ে তাই আপনাকেই দেখছি। অনেক ভাল অভিনেত্রীরাও এসেছেন, কেউ তাঁদের দেখেন না। আপনাকেই দেখেন সকলে। শুধু আপনাকেই দেখি। লোকসভায় শুধু আপনিই আছেন। বিরোধীদের প্রতি আপনার আচরণ মনে রাখা হবে স্যর।"


বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে কল্যাণ আরও বলেন, "প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি, না মন কি বাত, না দিল কি বাত, কোনও ক্ষেত্রেই প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেননি। মোদিজির গ্যারান্টি আছে, কিন্তু গ্যারান্টিতে ওয়ারেন্টি নেই।" কল্যাণের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শেহজাদ পুণাওয়ালা বলেন, "কাল রাহুল গাঁধীর আপত্তিজনক মন্তব্য, আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদকে কমেডির মঞ্চ বানিয়ে ফেললেন। তৃণমূলের এই কল্যাণই, ওবিসি সমাজের প্রতিনিধি, দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের অঙ্গভঙ্গি নকল করে দেখিয়েছিলেন, যা দেখে হাসছিলেন রাহুল গাঁধীও। আজও মহুয়া মৈত্র হাসছিলেন। কল্যাণ অভিজ্ঞ সাংসদ, পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের উপর অত্যাচার নিয়ে কোনও কথা বললেন না, তাজমুলকে নিয়েও কোনও কথা বললেন না। তৃণমূলের আসন বেড়েছে। তাই বলে সংসদে এই ধরনের টিকা-টিপ্পনি, স্পিকারের প্রিত এমন আচরণ কাম্য নয়।"