প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। ছবির সঙ্গে একটি লম্বা ক্যাপশনও দিয়েছেন। ছবিটির পরিচালনায় সর্বেশ মেওয়ারা এবং প্রযোজনায় রনি স্ক্রূওয়ালা। এর আগে কঙ্গনা বলেন, আমি বরাবরই একজন ভারতীয় যোদ্ধার ভূমিকায় অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। আর আমার ছোট থেকেই আর্মড ফোর্সের ব্যাপারে একটা মুগ্ধতা কাজ করে। জওয়ানদের বীরত্বের প্রতি আমি কতখানি শ্রদ্ধাশীল তা যতবারই ওঁদের সঙ্গে দেখা করেছি, জানিয়েছি। ওঁরাই আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখেন। শেষ পর্যন্ত এই ছবিতে এক সেনার ভূমিকায় কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশি।
কঙ্গনা কিছুদিন ব্যস্ত ছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার জীবনের ভিত্তিতে তৈরি ছবি থালাইভা-র কাজ নিয়ে। এখানে জয়ললিতার ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। সুপারস্টার হিরোইন থেকে তুখোড় রাজনীতিক হয়ে ওঠার জার্নিটা পর্দায় তুলে আনবেন তিনি।
তবে অভিনয় নয়, কঙ্গনা রানাওয়াত বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছেন অন্যান্য বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনার কারণে। কখনও তিনি সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে বলিউডের নেপোটিজম নিয়ে সরব হয়েছেন, কখনও অনুরাগ কাশ্যপ থেকে মহেশ ভট্ট- নানা পরিচালকের নামে কড়া কথা বলে নজর কেড়েছেন, কখনও আবার দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের বয়স্ক মহিলার বিষয়ে কটূক্তি করে আলোচনায় এসেছেন। আর শিবসেনা নেতার সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি এবং ফলস্বরূপ যা যা ঘটল তাতো একটা আলাদা অধ্যায় বলেই ধরা যেতে পারে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন কঙ্গনা। আর তাতেই কঙ্গনাকে মুম্বইতে না আসার পরামর্শ দেন এক শিবসেনা নেতা। তাঁর সঙ্গে বাগবিতন্ডা এমন পর্যায়ে গড়াল যে শেষটায় বড় মূল্য চোকাতে হল অভিনেত্রীকে। মুম্বইয়ে কঙ্কনার কোটি কোটি টাকায় তৈরি অফিস বেআইনি কনস্ট্রাকশন বলে দাগিয়ে তা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল মুম্বই মিউনিসিপ্যালিটি।