নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরেকে ক্ষমতাচ্যুত করা নিয়ে আজও তরজা শোনা যায়। সেই নিয়ে সম্প্রতি নিজের মতামত ব্যক্ত করেন জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী, শঙ্করাচার্য। হিন্দুধর্মে বিশ্বাসঘাতকতা সবচেয়ে বড় অপরাধ, তাই একনাথ শিন্ডে উদ্ধবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। সেই বিতর্কে এবার যোগ দিলেন বলিউড অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। (Kangana Ranaut)
শঙ্করাচার্যের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কঙ্গনা বলেন, "রাজনীতিবিদ রাজনীতি না করলে কী করবেন, ফুচকা বিক্রি করবেন?" সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনা লেখেন, 'রাজনীতিতে জোট গড়া, সমঝোতা এবং দলের ভাঙাগড়া স্বাভাবিক এবং সংবিধানসম্মত। ১৯০৭ সালে কংগ্রেস ভেঙে যায়, ১৯৭১ সালেও একই ঘটনা ঘটে'। (Kangana Ranaut on Shankaracharya)
কঙ্গনার আরও দাবি, শঙ্করাচার্য নিজের ধর্মীয় শিক্ষা এবং প্রভাবের অপব্যবহার করেছেন। কঙ্গনার মতে, রাজা নিজে যখন প্রজাদের উপর শোষণ চালান, সেই সময় বিশ্বাসঘাতকতাই একমাত্র ধর্মে পরিণত হয়। একনাথের দিকে আঙুল তুলে শঙ্করাচার্য মানুষের আবেগে আঘাত করেছেন বলেও দাবি করেছেন কঙ্গনা। এমন সঙ্কীর্ণ কথা বলে শঙ্করাচার্য হিন্দুধর্মের অবমাননা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে সম্প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন শঙ্করাচার্য। তাঁর বক্তব্য ছিল, "যাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তাঁরা হিন্দু হতে পারেন না।" ২০২২ সালে উদ্ধব নেতৃত্বাধীন মহা আঘাডি জোটের সরকার ফেলে দিয়ে যেভাবে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে একনাথ মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েন, সেই প্রসঙ্গেই শঙ্করাচার্য এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন।
শঙ্করাচার্য জানান, মহারাষ্ট্রে উদ্ধবের সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে, সেই যন্ত্রণা সকলেই অনুভব করেছেন। বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত করবেন না মানুষ। মাঝপথে একটি সরকার ভেঙে, মানুষের মতামত উল্টে দেওয়া একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়। শঙ্করাচার্য আরও জানান, আমরা রাজনীতি নিয়ে ভাবিত নই। কিন্তু হিন্দুধর্মে বিশ্বাসঘাতকতার জায়গা নেই।
শঙ্করাচার্যকে আরও বলতে শোনা যায়, "আমরা হিন্দু, আমরা সনাতন ধর্মের অনুগামী। পাপ-পূণ্যে বিশ্বাসী আমরা, যেখানে বিশ্বাসঘাতকতা অন্যতম বড় পাপ। এখানেও (মহারাষ্ট্র) তেমন ঘটেছে।" মুম্বইয়ে উদ্ধব নেতৃত্বাধীন শিবসেনার আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন শঙ্করাচার্য। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি। আর সেই নিয়েই মুখ খুলেছেন কঙ্গনা।