গত কয়েকদিন ধরেই মহারাষ্টের শিবসেনা জোট সরকারের সঙ্গে তুমুল অশান্তি চলছে কঙ্গনার। একদা কঙ্গনা মন্তব্য করেছিলেন যে তিনি মুম্বইয়ের মুভি মাফিয়াদের চেয়েও অনেক বেশি ভয় পান এই শহরের পুলিশকে,পুলিশের জন্য তিনি রীতিমতো নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন।
মুম্বইকে এমনকী আইন-শৃঙ্ঘলার দিক থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন কঙ্গনা। আর এখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়ে দেন কঙ্গনার যদি এতই অসুবিধা তাহলে মুম্বইতে তাঁর আর ফেরার দরকার নেই। কঙ্গনা জানিয়ে দেন, তিনি ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই ঢুকবেন মানালি থেকে। কারও বাবা-র ক্ষমতা থাকলে তাঁকে আটকে দেখাক। কঙ্গনার কথায় আগুনে ঘি পড়ে। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে বান্দ্রায় কঙ্গনার অফিস বাড়ির একাংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয় বিএমসি। মুম্বইকে ‘পিওকে ‘বলায় বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী কঙ্গনার সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাড়ি ভেঙে দেওয়ার পর আবার নিজের পালে হাওয়া পেয়েছেন কঙ্গনা। তিনি জানিয়েছেন যে এই বাড়ি সারানোর তাঁর পয়সা নেই। একজন প্রতিবাদী মেয়ের স্মারক হিসেবে তিনি নিজের ভাঙা অফিস-বাড়িটি এভাবেই রেখে দেবেন। এদিকে, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গেও দেখা করেছেন কঙ্গনা। আর তারপরই টুইট করে ফের মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর বললেন তিনি।