নয়াদিল্লি : ২৬ জুলাই ২০২৩ । কার্গিল যুদ্ধজয়ের ২৪ বছর পূর্তি। ১৯৯৯ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় ঢুকে পড়ে পাক সেনা। ২ মাস ধরেছিল চলেছিল ভারত-পাক যুদ্ধ।


ভারতীয় সেনাদের মরণপণ লড়াইয়ের মুখে শেষপর্যন্ত ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাক সেনা। প্রতিবছর এই দিনটিকে কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাঁচশোরও বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হন। ১৪-১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় চলেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেশরক্ষার লড়াই।  

বিশেষ এই দিনটিতে টুইটারে ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( Narendra Modi ) । ট্যুইটার বার্তায় তিনি লেখেন, "কার্গিল বিজয় দিবস ভারতের সেই অসাধারণ সাহসীদের বীরগাথাকে স্মরণে আনে , যাঁরা সর্বদা দেশবাসীর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। এই বিশেষ দিনে, আমি তাঁদের প্রতি আমার হৃদয়ের গভীর থেকে প্রণাম এবং অভিবাদন জানাচ্ছি। জয় হিন্দ!” 






২৪ তম কার্গিল বিজয় দিবসে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ( Rajnath Singh ) বুধবার কার্গিল যুদ্ধে প্রাণ হারানো সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লাদাখের দ্রাসে কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি কার্গিল সৈন্যদের স্মরণে তৈরি করা 'হাট অফ রিমেমব্রেন্স' ('Hut of Remembrance'  )জাদুঘরও পরিদর্শন করেন। 


উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বুধবার লখনউতে Kargil Shaheed Smartika Vatika  আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে কার্গিল যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বুধবার তিনি টুইটে লেখেন, “কার্গিল বিজয় দিবসে রাজ্যের সমস্ত মানুষকে আন্তরিক অভিনন্দন ... ভারত মাতার সমস্ত অমর পুত্রদের প্রতি শত শত প্রণাম যারা দেশের সেবায় তাঁদের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছেন!”


১৯৯৯ সালের ৫ মে, পাঁচ ভারতীয় জওয়ানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক অনুপ্রবেশকারীরা। ৯ মে, পাকিস্তানি সেনা কার্গিল সেক্টরে ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে ভারী গোলা বর্ষণ শুরু করে। যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ১০ মে  থেকে পুরোদমে শুরু হয় যুদ্ধ। ২ মাস, ৩ সপ্তাহ, ২ দিন ধরে যুদ্ধ চলার পর, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী কার্গিল বিজয়ের কথা ঘোষণা করেন।