নয়া দিল্লি: প্রায় ১৬ মাস আগের একটি ঘটনা। কর্নাটকের একটি হোটেল থেকে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ ১৯ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ১০ মাস আগেই জামিন পায়ে যায় ১২ অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, আইনি গেরোয় জামিন পেয়ে যায় বাকি সাত অভিযুক্ত। জামিন পাওয়ার পর গণধর্ষণে অভিযুক্তদের বীরের মর্যাদা! জেল থেকে বেরনোর পর বিজয়োল্লাস, শোভাযাত্রা করছে অভিযুক্তরা। কর্নাটকের এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে জামিনের শর্তভঙ্গের অভিযোগে সাত জনের মধ্যে চার ‘ধর্ষককে’ আবার গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিন জন পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।                      

মূল ঘটনা ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি।  ওই ঘটনায় যুবতীর বয়ানের ভিত্তিতে গণধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছিল। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, যুবতী মামলা চলাকালীন অভিযুক্তদের নিশ্চিত চিহ্নিত করতে পারেননি। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে মামলা।             

হাভেরির দায়রা আদালত সম্প্রতি ধর্ষণে অভিযুক্ত মূল সাতজনকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। ওই সাতজন হল, আফতাব চন্দনকাট্টি, মাদার সাব মান্দাক্কি, সামিউল্লা লালানভার, মোহাম্মদ সাদিক আগাসিমানি, শোয়েব মুল্লা, তৌসিপ ছোটি এবং রিয়াজ সাভিকেরি।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বিচার বিভাগীয় হেফাজত থেকে মুক্তি মিলতেই ধর্ষণে অভিযুক্তরা লাল গাড়িতে নাচতে নাচতে বাড়ি ফেরে। সঙ্গে তারস্বরে বাজতে থাকে গান। দু' পাশে মোটরবাইকে হুল্লোড়। ধর্ষণে অভিযুক্তদের মুখে হাসি। দু পাশে উল্লাস সমর্থকদের। বাজতে থাকে ডিজেও। ভিডিও সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। জানা যায়, হাভেরি জেল থেকে হাঙ্গাল তালুক পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তা শোভাযাত্রা করে যান ধর্ষণে অভিযুক্ত সাত জন এবং তাঁদের সঙ্গীরা। 

তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি নিয়ে পুলিশের তরফে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে স্বতঃপ্রনোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত করার কথা ভাবছে পুলিশ।