বেঙ্গালুরু: শ্রেণিকক্ষে সংখ্যালঘুকে বাকিদের দিয়ে মার খাওয়ানোর ভিডিও ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সংখ্যালঘু পড়ুয়ার প্রতি শিক্ষিকার অমানবিক আচরণের ঘটনা সামনে এল। এবারের ঘটনাস্থল কর্নাটকের একটি সরকারি স্কুল। অভিযোগ, সেখানে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের পাকিস্তান চলে যাওয়ার নিদান দিলেন এক শিক্ষিকা। (Karnataka Teacher)
কর্নাটকের শিবমোগা জেলার একটি সরকারি স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে মঞ্জুলা দেবী বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে বিগত ন'বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন মঞ্জুলা। কন্নড় ভাষার শিক্ষিকা তিনি। বৃহস্পতিবার পঞ্চম শ্রেণির শ্রেণিকক্ষে দুই পড়ুয়ার মধ্যে ঝগড়া বাধে। তাতে দুই সংখ্যালঘু পড়ুয়াকে তিনি পাকিস্তান চলে যাওয়ার নিদান দেন বলে অভিযোগ। (Viral News)
স্কুলের পড়ুয়াদের একাংশই কর্তৃপক্ষের কাছে মঞ্জুলার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। তাতে জানা যায়, শ্রেণিকক্ষে হট্টগোল দেখে বিরক্ত হন মঞ্জুলা। ওই দুই সংখ্যালঘু পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হন। তার পর বলে ওঠেন, "এটা হিন্দুদের দেশ। তোমরা পাকিস্তান চলে যাও বরং।" বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মঞ্জুলাকে বদলি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু গোটা ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত ছিল বলে নেট দুনিয়ায় দাবি করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: 'যুক্তরাষ্ট্রের উপর আক্রমণ', ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাহুলও
এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন কর্নাটকের ব্লক শিক্ষা আধিকারিক বি নাগরাজ। তিনি বলেন, "অন্য স্কুলে বদলি করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তার রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।" স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২৬ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে মঞ্জুলার। তাঁদের স্কুলে আসেন বছর নয়েক আগে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর পর এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কারণ এর আগে, উত্তরপ্রদেশ থেকে একই ধরনের ঘটনা সামনে আসে। সেখানে ক্যামেরার সামনেই শ্রেণিকক্ষের অন্য পড়ুয়াদের, তাদেরই সংখ্যালঘু সাত বছর বয়সি সহপাঠীর উপর হাতের সুখ মিটিয়ে নেওয়ারক নির্দেশ দেন এক শিক্ষিকা। মুজফ্ফরনগরের নেহা পাবলিক স্কুলে ওই ঘটনা ঘটে। ভিডিও-টি ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। তাতে সাত বছরের ওই বালককে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। আর সেই অবস্থায় এক একে অনেকে এসে চড়-থাপ্পড় মেরে যায় তাকে।