বেঙ্গালুরু: শাসন (discipline) নাকি নারকীয় অত্যাচার (harrasment)? কর্নাটকে (karnataka) চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুতে (tragedy) ফের আলোচনায় এই প্রশ্ন। অভিযোগ, তাকে বেলচা (shovel) দিয়ে বেধড়ক মারধরের পর দোতলার বারান্দা (balcony) থেকে ফেলে দেন শিক্ষক (teacher)। তাতেই মারা যায় ওই পড়ুয়া। অভিযুক্ত শিক্ষক এখনও ফেরার। তবে চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়ার সঙ্গে যা ঘটেছে, তার বিবরণ শুনে চমকে উঠেছেন অনেক অভিভাবকই।


কী ঘটেছিল?
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মুত্তু হাদালি বলে জানিয়েছে কর্নাটকের গড়ক জেলার পুলিশ প্রশাসন। এক সরকারি স্কুলে অতিথি শিক্ষকের পদে কাজ করতেন তিনি। কেন এমন করলেন, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে গড়ক জেলা পুলিশের বর্ষীয়ান আধিকারিক শিবপ্রকাশ দেবরাজু বলেছেন, 'সম্ভবত কোনও পারিবারিক বিবাদ ছিল।' এতেই শেষ নয়। তদন্তে উঠে এসেছে, মৃত পড়ুয়ার মা, গীতা বরাকেরি-কেও মারধর করেন মুত্তু। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। কিন্তু হঠাৎ কেন এত আক্রোশ? বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। খোঁজ চলছে ফেরার শিক্ষকের। বস্তুত, শিক্ষকের মারে ছাত্রমৃত্যুর এমনই এক অভিযোগ শোনা গিয়েছিল গত সপ্তাহেও। ঘটনাটি ঘটে দিল্লির এক স্কুলে।


কী ঘটে?
ক্লাস চলাকালীন পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়ার উপর কাঁচি নিয়ে চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে দিল্লির ওই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতেই ক্ষান্ত দেননি তিনি। অভিযোগ, তুমুল আক্রোশে তাঁকে স্কুলের দোতলা থেকে ছুড়ে ফেলা হয়। 'হাতের কাজ'-র ক্লাস চলছিল সেই সময়। অভিযুক্ত শিক্ষক সেই সময় পড়ুয়াদের নিয়ে ওই ঘর তালাবন্ধ করে দেন। প্রথমে তাদের দিকে দেদার জলের বোতল ছুড়তে থাকেন। তার পর হঠাৎ এক পড়ুয়ার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁচি দিয়ে তার চুল কাটতে থাকে। শেষে দোতলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। আবার চলতি মাসের গোড়ার দিকে জলপাইগুড়িতেও একই ধরনের এক অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। শাসনের নামে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ ওঠে গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। পড়া না পারায় লাঠি দিয়ে ৪ বছরের শিশুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকা। গত নভেম্বরে আবার নামতা বলতে না পারার শাস্তি হিসেবে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের হাতে ড্রিলিং মেশিন চালানোর অভিযোগ ওঠে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কানপুরের একটি উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। সহপাঠীর তৎপরতায় বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ছাত্রটি। হাতে চোট পেলেও বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। সহপাঠীর তৎপরতায় রক্ষা পায় ওই ছাত্র। দ্রুত ড্রিলিং মেশিনের প্লাগ খুলে ফেলায় রক্ষা পায় সে। সামান্য চিকিৎসার পরই ওই ছাত্রকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন বুনিয়াদি শিক্ষা আধিকারিক। 


আরও পড়ুন:ভোটের দাবিতে অনড় থেকেও ১২ দিন পর অনশন প্রত্যাহার মেডিক্যালের ছাত্রদের