কার্তিয়ানী আম্মা এখন ৯৮। ২০১৮-য় ১০০-র মধ্যে ৯৮ নম্বর পেয়ে কেরল সাক্ষরতা মিশনের অক্ষরালক্ষ্যম পরীক্ষা পাশ করেন তিনি। এত নম্বর পাওয়ার রহস্য হিসেবে বলেছিলেন, তিনি কারও থেকে টোকেননি, উল্টে অন্যদের তাঁর খাতা দেখে লিখতে দিয়েছেন। যখন ছোট ছিলেন, অন্য ছেলেমেয়েদের দেখে তাঁরও পড়াশোনা করতে খুব ইচ্ছে করত কিন্তু সুযোগ পাননি। যদি পড়াশোনা করতেন, তাহলে সরকারি চাকুরে হতেন।
এখন ১০০ ছুঁই ছুঁই আম্মার হাতে সময়, সুযোগ দুই-ই এসেছে। ২ মাসে শিখে ফেলেছেন অঙ্ক আর মালয়ালম, ইংরেজি অক্ষর। পরীক্ষায় তুখোড় রেজাল্ট করে এবার তাঁর ইচ্ছে আরও পড়াশোনা করার, কম্পিউটার শেখার।
একইভাবে এতদিনে ঝাড়া হাত পা হয়েছেন ১০৫ বছরের ভাগীরথী আম্মা। কেরলের কোল্লামের বাসিন্দা ভাগীরথী আম্মাও চতুর্থ শ্রেণির সমতুল্য পরীক্ষা পাশ করেছেন, নম্বর পেয়েছেন ২৭৫-এ ২০৫। এবার পাশ করতে চান দশম শ্রেণির সমতুল্য পরীক্ষা। অঙ্ক খুব সোজা লাগে ভাগীরথী আম্মার। ৭৫-এ ৭৫ পেয়েছেন তিনি।