Kashmir Pahalgam Incident: ১২ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন কানপুরের শুভম দ্বিবেদী। আর এবার এপ্রিল মাসে উত্তরপ্রদেশের এই যুবক স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন ভূস্বর্গে। তবে কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়াই যে 'কাল' হবে তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি শুভম কিংবা তাঁর স্ত্রী বা পরিবার, আত্মীয়, পরিজনরা। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন বছর ৩১- এর এই যুবকও। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে, হাসিমুখের শুভমকে। বেড়াতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছেন তিনি। চলছে 'উনো' খেলা। মাঝে মাঝে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন শুভম। স্ত্রী এবং পরিবারের আরও দুই সদস্যের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের হোটেলের ঘরে হাসি-মজা-খেলায় মেতেছিলেন শুভম। যতবার এই ভিডিও চোখের সামনে আসবে, বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে হাসিখুশি তরতাজা এই প্রাণটা আর নেই। অল্প কয়েকদিনের জন্য স্ত্রীকে নিয়ে পহেলগাঁও বেড়াতে গিয়েছিলেন শুভম। বাকি পর্যটকদের মতোই 'মিনি সুইৎজারল্যান্ড' দেখতেও গিয়েছিলেন। আর সেই 'মাস্ট ভিজিট' বৈসরণেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। সমস্ত হাসি নিমেষে বদলে গিয়েছে কান্নায়।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে শুভমের খুড়তুতো ভাই সৌরভ জানিয়েছেন, ১২ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয়েছিল শুভমের। তারপর এবার এপ্রিলে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন শুভম এবং তাঁর স্ত্রী। সৌরভ জানিয়েছেন, তাঁর বৌদিই বাড়িতে ফোন করে নিজের শ্বশুরমশাইকে খবর দেন যে শুভমকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে তরুণী এও জানান যে, প্রত্যেকের আলাদা আলাদা করে নাম জিজ্ঞাসা করার পরই গুলি চালানো হয়েছে। সৌরভ জানিয়েছেন, যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে নেওয়ার পর ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে শুভমের দেহ আসবে বাড়িতে। মাত্র ২ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন শুভম। স্বভাবতই পরিবারে ছিল খুশির আবহাওয়া। শুভম এবং তাঁর স্ত্রী'র কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়া নিয়েও নিশ্চিত উত্তেজিত ছিলেন সকলে। তবে সমস্ত আনন্দ পহেলগাঁওয়ের এই নারকীয় হত্যালীলার পর নিমেষে নিরানন্দে পরিণত হয়েছে।