নয়া দিল্লি: ওয়াকফ বিল নিয়ে দেশজুড়েই বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে ‘ওয়াকফ বাঁচাও’ আন্দোলন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমান নেতারা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের শরিকদের উদ্দেশে বলেছেন, তাঁরা যেন সমবেতভাবে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, যাতে ওয়াক্ফ আইন প্রত্যাহারে সরকার বাধ্য হয়। তবে পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হত্যার ঘটনায় মৃতদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আপাতত ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল'বোর্ড।
একটি বিবৃতিতে জানান হয়েছে, এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও নিন্দনীয়। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৩ দিনের জন্য ৩ দিন ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ৩ পর যে ফের আন্দোলন শুরু হবে, সেকথাও জানিয়ে দিয়েছে মুসলিম ল'বোর্ড।
শীর্ষস্থানীয় মুসলিম সংগঠন, জামাত-ই-ইসলামি হিন্দ এবং জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি তাদের সংহতি প্রকাশ করেছে। এই হামলাকে "কাপুরুষোচিত" আখ্যা দিয়ে, মুসলিম সংগঠনগুলি আক্রমণকারীদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে নাগরিক সমাজে সন্ত্রাসের কোনও স্থান নেই। জামাত-ই-ইসলামির সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি বলেন, ' ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। বিদেশী পর্যটক সহ নিরীহ মানুষের প্রাণহানি গভীরভাবে দুঃখজনক। এই ধরণের বর্বর কাজের কোনও যুক্তি থাকতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ অমানবিক এবং এর নিন্দার দাবিদার। দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত'।
এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আজ সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সন্ধে ৬টায় সংসদ ভবনে এই বৈঠক হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর আগে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি দাবি করে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ, তা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকে আলোচনা করতে হবে।
অন্যদিকে, ভূস্বর্গে নারকীয় হত্যালীলা। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের গুলি করে খুন। দিল্লিতে পাক হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদ। ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। অ্যান্টি টেরর ফোরামের ব্যানার নিয়ে পাকিস্তান হুঁশিয়ার, পাকিস্তান মুর্দাবাদ বলে উঠছে স্লোগান।