Ceasefire Violation: নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। রাত হলেই লাইন অফ কন্ট্রোলের ওপার থেকে ধেয়ে আসছে গুলি। তাও আবার পাক সেনার একাধিক চৌকি থেকে। এই নিয়ে পরপর তিন রাত একই ঘটনা ঘটেছে নিয়ন্ত্রণরেখায়। এবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে তুতমারি গলি এবং রামপুর সেক্টরে। আগের দু'বারের মতোই এবারও 'বিনা প্ররোচনায়' গুলি চালানো হয়েছে পাক সেনার তরফে, এমনটাই খবর ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে পাওয়া গিয়েছে। উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীও। আগের দু'বারের মতোই এবারও নিয়ন্ত্রণরেখার এপার থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাক সেনার গুলির জবাব গুলি চালিয়েছে। তবে খুব বেশি ফায়ারিং করা হয়নি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একাধিক চৌকি থেকে গুলি চালানো হলেও খুব ভারী মাত্রায় গুলিবর্ষণ করা হয়নি। তবে পুরোটাই হয়েছে 'বিনা প্ররোচনায়'। পাল্টা জবাবে ভারতের তরফে গুলি চালানো হলেও, তা খুব ভারী মাত্রায় হয়নি। উভয় পক্ষেই হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসারন উপত্যকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয় জেনে তাদের উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে টার্গেট করা হয় হিন্দু পুরুষদের। বেশিরভাগ পর্যটককেই খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে। ভূস্বর্গের 'মিনি সুইৎজারল্যান্ড'- এর এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে মোট ২৬ জনের। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক। রয়েছেন বাংলার তিন বাসিন্দাও। অন্যদিকে পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক কাশ্মীরি টাট্টু ঘোড়ার চালক, স্থানীয় যুবক সৈয়দ আদিল হুসেন। এখনও এই জঙ্গি হামলায় নিযুক্তরা ধরা পড়েনি। উপত্যকা জুড়ে চলছে সেনাবাহিনীর অভিযান। বিশেষত দক্ষিণ কাশ্মীরে চলছে নিরাপত্তাবাহিনীর প্রত্যাঘাত। কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় ৯ সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে। হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজে ঘন জঙ্গলে, পাহাড়ে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। ড্রোন উড়িয়েও চলছে নজরদারি। 

পহেলগাঁওয়ের এই ন্যাক্কারজনক জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে কার্যত সব সম্পর্ক ছিন্ন করার নিরিখে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল সিন্দু জল-চুক্তি বাতিল। পাকিস্তানকে এক ফোঁটাও সিন্ধুর জল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এই তালিকায় রয়েছে আরও অনেকগুলি কড়া পদক্ষেপ। ভারত সরকার এইসব কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।