নয়াদিল্লি: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফুঁসছে গোটা দেশ। ধর্ম জেনে বেছে বেছে হিন্দুদের খুন করা নিয়ে বিভাজন তৈরি হয়েছে সমাজেও। সেই আবহে জঙ্গিদের উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জেনে খুনের নেপথ্যে জঙ্গিদের আসল উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে বলে জানালেন তিনি। (Pahalgam News)

Continues below advertisement

পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার দীপ ভগৎ। ভারতীয় সেনায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় যুক্ত ছিলেন তিনি। অল্প বয়সে পাকিস্তানি জঙ্গিকে নিকেশ করার জন্য সাহসিকতার পুরস্কারও পেয়েছিলেন।  অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ারের ছেলে অনীশ ভগৎ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। ছেলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকউন্টেই মুখ খুলেছেন  অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার। (Kashmir News)

সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওয় অনীশ জানান, স্পেশাল ফোর্সের অফিসার হিসেবে ৩০ বছর ভারতীয় সেনায় কাটিয়েছেন তাঁর বাবা। পাকিস্তানি জঙ্গিকে নিকেশ করার জন্য সাহসিকতার পুরস্কারও পান তিনি। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহস কোথা থেকে পেলেন, প্রথমেই তা জানতে চান অনীশ। এতে  অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জানান, দেশের প্রতি ভালবাসা এংব হনুমানজির উপর আস্থাই তাঁকে সাহস জুগিয়েছে।

Continues below advertisement

এর পরই পহেলগাওঁয়ে বেছে বেছে হিন্দুদের খুন করা নিয়ে বাবার মতামত জানতে চান অনীশ। পহেলগাঁওয়ের হামলা কি হিন্দুদের উপর হামলা? বাবাকে এই প্রশ্ন করেন অনীশ। জবাবে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বলেন, “না, এটা ভারতীয়দের উপর হামলা। হিন্দু জেনে হত্যা আসলে একটা কৌশল, ভারতীয় সমাজে বিভাজন তৈরির কৌশল। গোটা বিষয়টিই পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে। ধর্ম জিজ্ঞেস করা, কলমা পড়ানো এবং কিছু লোকজনকে জীবিত ছেড়ে দেওয়া, যাতে তাঁরা এসে বলতে পারেন। মানুষের মনস্তত্ত্বের সঙ্গে খেলছে ওরা, যাতে ধর্মের নামে লড়াই শুরু হয় দেশে।” 

পহেলগাঁওয়ের হামলা নিয়ে নানা তথ্য় উঠে আসছে। স্থানীয়রা জঙ্গিদের মদত জুগিয়েছেন কি না, উঠছে সেই প্রশ্ন। সেই নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বলেন, “স্থানীয়দের এসব পোষাবেই না। এটাই তো পর্যটনের মরশুম! হলেও সংখ্য়ায় নগণ্য।” ভারতীয়দের বার্তা দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বলেন, “ভারতীয় হিসেবে আমাদের নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। সাম্প্রদায়িক হিংসার মাধ্যমে রাগের দেখাবেন, নাকি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবেন?”