কলকাতা: প্রত্য়াঘাতের প্রস্তুতির মধ্য়েই, অনন্তনাগ ও পুলওয়ামায় বিস্ফোরণে উড়ল, পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী দুই লস্কর জঙ্গির বাড়ি। গোয়েন্দাদের অনুমান, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড আদিল গুর। হামলার তিনদিন পরও এখনও অবধি আদিল ধরা না পড়লেও, বিজবেহেরায় বৃহস্পতিবার নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হল। আদিলের মায়ের স্পষ্ট কথা, ছেলে এই অন্যায় করে থাকলে শাস্তি পেতে হবে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে পর্যটকদের প্রাণ। হামলার তিনদিন পরও এখনও অবধি আদিল ধরা না পড়লেও, বিজবেহেরায় তার বাড়ি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। ২২ এপ্রিলের হামলায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল তার মধ্যে আদিল ও আসিফ দুজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা। আদিলের মা জানাচ্ছেন, "২০১৮-তে এখান থেকে চলে গেছে। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য় গেছিল। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত খোঁজ নেই। পহেলগাঁও-এ যে হামলা হয়েছে, আমাদের ভাই-বোন শহিদ হয়েছেন, ওঁরাও আমাদের সন্তান। আমরা তীব্র নিন্দা করি। দুঃখপ্রকাশ করছি।'' একইসঙ্গে ছেলে এই ঘটনায় যুক্ত থাকলে তার শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন অন্যতম অভিযুক্তের মা। ওখানে যে নির্দোষ মানুষ মারা গেছেন যদি আমার ছেলে এই ধরনের কিছু করে থাকে তো ওকে শাস্তি দেওয়া হোক।
পহেলগাঁও পর্যটকদের ওপর জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল একের পর এক প্রাণ (Kashmir Terror Attack)। বাংলার ৩-সহ ২৬ জনের মৃত্যু। ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। হামলার পর থেকেই চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। ঘটনার তিন দিনে পেরিয়ে গেলেও এখনও অবধি অধরা জঙ্গিরা। হামলাকারী জঙ্গিদের মধ্যে আদিলের পাশপাশি রয়েছে আসিফ শেখ। পুলওয়ামার ত্রালের বাসিন্দা বৃহস্পতিবার রাতে আসিফ শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সেনাবাহিনী। তল্লাশি চলাকালীনই তাদের নজরে আসে যে বাড়িতে সন্দেহজনক কিছু মজুত করা রয়েছে। সেনাবাহিনীকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা আশঙ্কা করেই তড়িঘড়ি সেনারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। বাড়ি থেকে বেরোতেই বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় আফিস জড়িত থাকলে তার কড়া শাস্তির দাবি করেছে পরিবারও। জঙ্গি আসিফ শেখের বোন বলছে, "শেষবার তো ২০২১-এ এসেছিল। যেই করুক, যদি আমার ভাইও করে থাকে তো ওর সাজা হওয়া উচিত।''