নয়াদিল্লি: রাজা বলে কথা। তাঁর প্রাণেও করোনার ভয়, তিনিও সাধারণ মানুষের মত আইসোলেশনে যাবেন। তবে রাজা তো! মিশরের ফারাওরা মমি হওয়ার সময় পোষা বেড়ালটাকেও রেহাই দিতেন না। একইভাবে থাইল্যান্ডের রাজা মহা বজ্রলংকর্ণ গেলেন কোয়ারান্টাইনে, সঙ্গে গেলেন ২০ জন রক্ষিতা।

থাইল্যান্ডের রাজারা সিংহাসনে বসেন রাম উপাধি নিয়ে, ৬৭ বছরের মহা বজ্রলংকর্ণ হলেন দশম রাম। কোয়ারান্টাইনের জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন দক্ষিণ জার্মানির বাভেরিয়ার বিলাসবহুল হোটেল সনেনবিখল, পুরোটাই ভাড়া নিয়েছেন তাঁর হারেমের জন্য। তবে মহারাজের চার স্ত্রী তাঁর সঙ্গে আছেন কিনা জানা যায়নি। রাজপরিবারের ১১৯ জনকে থাইল্যান্ডে ফেরত পাঠিয়েছেন রাজা, আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ হয়েছে।

জার্মানিতে রাজার বাড়ি রয়েছে, এখানেই বেশিরভাগ সময় কাটান তিনি। ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁর দেশে দেখা যায়নি তাঁকে। মালয়েশিয়ার রাজপ্রাসাদের ৭ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহ ও রানি টুঙ্কু আজিজা আমিনা মাইমুনা ইস্কানদারিয়াকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়। তারপরই শোনা যায়, থাইল্যান্ডের রাজাও কোয়ারান্টাইনে গিয়েছেন। মালয়েশিয়ার রাজারানির করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে, তা সত্ত্বেও ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকবেন তাঁরা।

কিন্তু রাজার এমন ‘লাক্সারি’ কোয়ারান্টাইন মোটেই পছন্দ হয়নি থাই জনতার। অনলাইনে চলছে নিন্দার ঝড়, যদিও ধরতে পারলে সোজা ১৫ বছরের জেল, কারণ থাইল্যান্ডের আইনে রাজপরিবারের নিন্দে করলে জেল খাটতেই হবে। তা সত্ত্বেও মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, দেশে যখন করোনা ছড়িয়ে পড়েছে, তখন বিদেশে গিয়ে নিজেকে নিরাপদে রাখা এমন রাজার আমাদের দরকারটা কী? হোয়াই ডু উই নিড আ কিং হ্যাশট্যাগ টুইটারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখের বেশি দেখা গিয়েছে।

২০১৬ সালে রাজা ভূমিবলের মৃত্যুর পর রাজা হয়েছেন তাঁর ছেলে বজ্রলংকর্ণ। ভূমিবল ৭০ বছরের বেশি রাজত্ব করেন, সর্বজনশ্রদ্ধেয় ছিলেন তিনি।