সময় যত পেরোচ্ছে,এক এক করে বের হচ্ছে মৃতদেহ। প্রকৃতির তাণ্ডবে জম্মু - কাশ্মীরের কিস্তওয়ার যেন মৃত্যুপুরী। কিছুদিন আগেই উত্তরকাশীর ধারালীতে প্রকৃতির রুদ্ররূপ দেখেছিল মানুষ। সেখানেও মেঘ ভাঙা বৃষ্টি , হড়পা বানে মাটিতে মিশেছিল বিরাট জনপদ। এবার জম্মু ও কাশ্মীর কিস্তওয়ারে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে, হড়পা বানে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল একের পর এক বাড়ি। বিরাট এলাকা কার্যত তছনছ হয়ে গেল। সুন্দর , ঝকঝকে পাহাড়ি জনপদ এখন যেন ধ্বংসাবশেষ।
বৃহস্পতিবারের বিপর্যয়ে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে দুই সিআইএসএফ জওয়ানসহ কমপক্ষে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেসরকারি সূত্রে খবর, মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, মাচাইল মাতার মন্দিরের কাছে ঘরের পর ঘর যেভাবে ধূলিসাৎ হয়েছে, তাতে বিরাট সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিশ আধিকারিক পারদীপ সিং জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ৬৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে ( ABP NEWS সূত্রে খবর )। এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৮-১০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, এসডিআরএফ, ফায়ার সার্ভিস, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ এবং সেনাবাহিনী । ১০০ জনেরও বেশি আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও এলাকায় প্রবল বৃষ্টি চলছে। তার জেরে উদ্ধারকাজ মাঝেমধ্যে ব্যাহত হয়েছে। আবহাওয়া দফতর বড় দুর্যাগের সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চশোতি গ্রাম সংলগ্ন এলাকা ভেসে যায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে। তার জেরেই ধেয়ে আসে হড়পা বান। প্রবল স্রোতে ভেসে যায় বাড়ি, ঘর, গাড়ি জনপদ, সবকিছু । শেষ খবর খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বিপর্যয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে ফোন করেন অমিত শাহ। লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাকেও ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। কেন্দ্রের তরফে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শোকবার্তা দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও।