Singer KK Death Live Updates: শেষকৃত্যের সময়সূচি দেওয়া হল কে কে-র সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে
KK death live updates: কলকাতায় গানের অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কে কে
মুম্বই পৌঁছনোর পরই কে কে-র সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শেষকৃত্যের সময়সূচী দেওয়া হয়। তাতে লেখা রয়েছে। 'আগামীকাল অর্থাৎ ২রা জুন বৃহস্পতিবার পার্ক প্লাজা, ভারাসোভা, আন্ধেরিতে কে কে-কে শেষশ্রদ্ধা জানান যাবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত। ভারাসোভা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর। অন্তিম যাত্রা সম্পন্ন হবে দুপুর একটায়।' পোস্ট করে আরও লেখা হয়েছে ''কে কে, কৃষ্ণকুমার কুন্নথ তুমি আমাদের ভালোবাসায় থাকবে চিরকাল। তোমাকে আমরা অত্যন্ত মিস করব।''
আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত শেষশ্রদ্ধা জানান যাবে কৃষ্ণকুমার কুন্নথকে। দুপুর ১টায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর। কে কে-র সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে বিস্তারিতভাবে জানান হল।
সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যুর জের। নজরুল মঞ্চে চিরকালের জন্য কলেজ ফেস্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
মুম্বই পৌঁছেছে সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মরদেহ। আগামীকাল সকাল ১১টায় ভারাসোভা শ্মশানে হবে কে কে-র শেষকৃত্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও। এমনই একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে মঞ্চে দাঁড়িয়ে দরদর করে ঘামছেন কে কে। তোয়ালেতে মুখ মুছছেন শিল্পী। জানা যাচ্ছে একইসঙ্গে অডিটোরিয়ামের এসি কাজ করছিল না বলেও জানান কে কে।
গতকাল লাইভ অনুষ্ঠান করতে করতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী কে কে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কলকাতায় তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার পর কে কে-র মরদেহ নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকেরা রওনা দেন মুম্বইয়ের উদ্দেশে। মুম্বইয়ে পৌঁছল কে কে-র মরদেহ। আগামীকাল সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য।
'আজ আমাদের প্রজন্মের মন খারাপ গুমোট অন্ধকারের মতো চেপে বসে আছে। আমাদের রিইউনিয়ন,প্রেম,বন্ধুত্ব,বিরহ, প্রেমের প্রস্তাব এর গান,সবকিছুকে নিজের গলায় ঠিকানা দিয়েছিলে তুমি। কত প্রেম আদান প্রদান হয়েছে তোমার ক্যাসেট এর অজুহাতে। আবার ভাঙা প্রেমে ভেজা বালিশ এর পাশে মলম এর মতো ছিল সেই তোমারই গলা। তোমার যখন সেভাবে নাম হয়নি,মানে মাচিস,just mohabbat (serial ),pal করেছো তখন আমরা কয়েকজন বন্ধু অন্যদের ধরে ধরে তোমার গান শোনাতাম। একজন নতুন শ্রোতা যেন আমাদের ব্যক্তিগত উপার্জন। kk তুমি আমাদের প্রজন্মের mutual friend ছিলে। শিকাগোর software engineer এর মন কেমন কারণ,প্রেম ভাঙার পর সারারাত ও "maine dil se kaha " শুনেছিলো। আর আজ সব পেয়ে যাওয়া সুখী nri জীবনে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে ওয়ালপেপার এর দিকে।প্রায় সাত বছর কেউ কারো মুখ দেখেনি,কিন্তু আজ ও কথা বলবে না?বলবে না "kk আর নেই জানিস?"ওই তো সাক্ষী ছিল ওই রাতটার যেদিন দু বন্ধু হাতে বিয়ার এর bottle হাতে নিয়ে নিজেদের r madhavan ভেবেছিলো|এইদিকে বাঁশদ্রোণী তে গয়নার দোকান এ ব্যস্ত আরেক বন্ধুর ফোন কেঁপে ওঠে|আজ অনেক বন্ধু তার এক দেওয়াল ego সরিয়ে আরেক বন্ধুকে sorry বলবে|যা বলা হয়নি,কিন্তু আজ বন্ধুত্বের বাবা চলে গেছে,আজ তাই সরি বলতেই হবে|নাহলে একসাথে বসে "yaaron ,dosti badi hi haseen hain”হবে কি করে?অনেকদিন একসাথে ছাদে বসে কাঁদা হয়না যে।' কে কে-র প্রয়াণে লিখলেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা ছিল কেকে-র, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ, পুলিশ সূত্রে খবর। রাসায়নিক বিশ্লেষণের পর মিলবে চূড়ান্ত রিপোর্ট।
‘হজমের সমস্যা ছিল ভেবে প্রচুর অ্যান্টাসিড খেতেন কেকে, ৩০ এপ্রিল কলকাতায় এসে বলেন হাত-কাঁধে ব্যথা হচ্ছিল, পুলিশের কাছে এমনই জানিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পীর স্ত্রী: সূত্র।
রূপঙ্কর বাগচীর কে কে-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakraborty) বলেন, 'আমার মনে হয় কোনও সিস্টেমকে সমালোচনা করা বা একটা সংস্ক্তিকে সমালোচনা করা। বিশেষ করে কারও নাম না নিয়েও অনেক কথা বলা যায়। শিল্পী হিসেবে আমরা সবাই নিজের জায়গা থেকে চেষ্টা করি। ছবি আঁকা, গান গাওয়া, অভিনয় করা যাই হোক না কেন। খেলার দিক থেকেও তাই। এভাবে না বললেও হত। '
রূপঙ্করের মন্তব্য প্রসঙ্গে সঙ্গীতশিল্পী ইমনের বক্তব্য, 'রূপঙ্কর দা কিছু বক্তব্য রেখেছেন। ওঁর মতো করে। উনি নিজের বক্তব্য রেখেছেন। এবং সেখানে আমার নামও রয়েছে যে আমি কতটা ভালো গান গাই। আমার পারফরম্যান্সের জন্য কত লোক উপচে পড়ে। তার জন্য আমি অনেক কৃতজ্ঞ। থ্যাঙ্ক ইউ রূপঙ্কর দা। তুমি এভাবে আমার প্রশংসা করেছো বলে। বাংলার শিল্পীদের হয়ে কথা বলেছ বলে। খুব জোর গলায় তুমি এই কথাগুলো বলেছ। কিন্তু এটা বলার আগে যদি একবার যাদের নাম বলেছ, তাদের থেকে জানতে চাইতে যে এটা তাদেরও বক্তব্য কিনা, তাহলে খুব ভালো হত। কারণ, এটা একেবারেই আমার বক্তব্য নয়।'
এদিন শানের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে ফুটে উঠেছে গভীর শোক। দুটি পোস্ট করেছেন শান। একটিতে দেখা যাচ্ছে স্টেজে একসঙ্গে পারফর্ম করছেন শান এবং কে কে। 'হম রহে ইয়া না রহে কাল' গানটি তাঁরা দুজনে একসঙ্গে গাইছেন। ভিডিও পোস্ট করে শান লেখেন, 'ভাবতেই পারছি না আমি এটা পোস্ট করছি। কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি এই পোস্ট আমাকে করতে হবে। কে কে চিরকালের জন্য। ও বাঁচত, বাঁচতে ভালোবাসত। আর ওর হাসি এবং ওর গান যা আর কারও নেই। সবসময় যা করত মন থেকে করত। আমার ভাই রকস্টার। চিরকালের জন্য।'
সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যুতে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্য কোনও কারণে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিন গ্র্যান্ড হোটেলে যান কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা ও ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার। গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার, হোটেল কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ।
হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা ছিল কেকে-র’। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ। পুলিশ সূত্রে খবর রাসায়নিক বিশ্লেষণের পর মিলবে চূড়ান্ত রিপোর্ট।
নজরুল মঞ্চ পরিদর্শনে KMDA-র কর্তারা। গতকাল কে কে-র অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় কোনও ত্রুটি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে এদিন KMDA-র ডিজি সুপ্রিয় মাইতির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় এখটি প্রতিনিধিদল। নজরুল মঞ্চের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। উদ্যোক্তাদের তরফে ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি ছিল বলে দাবি করেছেন KMDA-র প্রতিনিধিরা। এ ধরনের ঘটনা আটকাতে ভবিষ্যতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে KMDA।
আগামীকাল মুম্বইয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে কে কে-র। মুম্বইয়ের ভারাসোভা শ্মশানে হবে কে কে-র শেষকৃত্য।
প্রথমবার কে কে-র অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করার ডাক পেয়েছিলেন হাওড়ার দম্পতি সুদীপ্ত ও শিল্পী মিত্র। সঞ্চালক দম্পতি জানিয়েছেন, ওভার ক্রাউডেড অডিটোরিয়ামে প্রচণ্ড গরম লাগছিল। লাইভ পারফর্ম করতে করতেই দরদর করে ঘামছিলেন কে কে। তোয়ালে দিয়ে ঘাম মোছার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই জল খাচ্ছিলেন। প্রায় ২ ঘণ্টার অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বোঝাই যাচ্ছিল কে কে-র কষ্ট হচ্ছে। তবে এতটুকু বুঝতে না দিয়ে দর্শকদের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে নেমে যান মঞ্চ থেকে। জানিয়েছেন গতকালের অনুষ্ঠানের দুই সঞ্চালক।
কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছল সদ্য প্রয়াত জনপ্রিয় গায়ক কে কে-র মরদেহ।
গানের সুরে আসমুদ্র হিমাচলের মন জয় করা সঙ্গীতশিল্পী KK, কৃষ্ণকুমার কুন্নথকে গান স্যালুট দিয়ে চিরবিদায় জানাল শোকাতুর তিলোত্তমা
গান স্যালুটে শ্রদ্ধা জানানো হল প্রয়াত শিল্পী কে কে। শেষ গাওয়া গানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। নজরুল মঞ্চে এখনও পড়ে রয়েছে গানের প্লে লিস্ট। গতকাল গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে ২০টি গান গেয়েছিলেন কে কে।
রবীন্দ্র সদনে এসে পৌঁছেছেন প্রয়াত শিল্পী কে কে-র স্ত্রী ও ছেলে। কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরিবারের লোকজন। পাশে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মর্গ থেকে বেরোলেন কে কে-র ছেলে ও স্ত্রী। বিকেল ৫টা ১৫-এর ফ্লাইটে মুম্বইয়ে ফিরে যাওয়ার কথা পরিবারের। তাই ময়নাতদন্ত শেষে কলকাতা বিমানবন্দরের পরিবর্তে রবীন্দ্র সদনেই গান স্যালুট দেওয়া হবে। এই কথা জানিয়ে বিমানবন্দর থেকে রবীন্দ্র সদনের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বলিউডে বহু প্লে-ব্যাক করেছেন কে কে। হিন্দি ছাড়াও বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, গুজরাতি, মারাঠী ভাষাতেও বহু গান গেয়েছেন। ইন্ডিয়ান পপ, রক মিউজিকে আলাদা করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন কে কে।
কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়নাতদন্তের পর রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই দেওয়া হবে গান স্যালুট।
সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের মাঝে অসুস্থ বোধ করেন সঙ্গীতশিল্পী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একাধিক ভিডিও। এমনই একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে মঞ্চে দাঁড়িয়ে দরদর করে ঘামছেন কে কে। তোয়ালেতে মুখ মুছছেন শিল্পী। জানা যাচ্ছে একইসঙ্গে অডিটোরিয়ামের এসি কাজ করছিল না বলেও জানান কে কে।
এদিন গ্র্যান্ড হোটেলে যান কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা ও ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার। গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার, হোটেল কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ।
‘কে কে়-র স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে দমদম বিমানবন্দরে এসে শ্রদ্ধা জানাব।' শ্রদ্ধা জানানো হবে গান স্যালুটে। বাঁকুড়ার সভা থেকে বুধবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, 'অন্তত যদি শেষ দেখা দেখা যায়, পুলিশকে দিয়ে গান স্যালুট করাব।
এখনই ময়নাতদন্তের জন্য এসএসকেএমের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেল কে কে-র মরদেহ। আজ সকালের কলকাতা এসে পৌঁছেছেন শিল্পীর স্ত্রী ও পুত্র।
কিছুক্ষণ আগেই গ্র্যান্ড হোটেলে পৌঁছল গোয়েন্দা বিভাগের সাইন্টিফিক উইং। কে কে-র মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে নিউ মার্কেট থানায়।
সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রীর শোকজ্ঞাপন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট, বলিউডের প্লে ব্যাক গায়ক কে কে-র আকস্মিক ও অকালমৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, পরিবারকে সহায়তা দিতে গতকাল রাত থেকেই কাজ করছেন আমার সহকর্মীরা। গভীর সমবেদনা জানাই। ট্যুইটে লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।
'হোটেলের ঘরে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান।' কে কে-র শেষ মুহূর্তের কথা জানিয়েছেন তাঁর ম্যানেজার রীতেশ ভাট। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, গতকাল নজরুল মঞ্চ ওভার ক্রাউডেড ছিল।
গতকাল অনুষ্ঠান শেষে ফিরে যাওয়ার সময় গাড়িতে শীত করছিল কে কে-র। এসি বন্ধ করে দিতে হয়। হাতে-পায়ে ক্র্যাম্প ধরতে শুরু করে। হোটেলে ফিরে অনুরাগীদের ডাকে সাড়া দিয়ে ছবিও তোলেন কে কে।
আজ সকালে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন কে কে-র পরিবারের লোকজন। এইমাত্র কলকাতায় এসে পৌঁছলেন গায়কের স্ত্রী ও ছেলে।
সোমবার নজরুল মঞ্চেই ঠাকুরপুকুরের বিবেকানন্দ কলেজের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন কে কে। জানিয়েছিলেন, অসুস্থ বোধ করছেন। এমনই দাবি নজরুল মঞ্চের নিরাপত্তারক্ষীর। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল প্রচণ্ড ভিড় হয়েছিল নজরুল মঞ্চে। প্রায় ৬-৭ হাজার দর্শক হাজির ছিলেন কে কে-র অনুষ্ঠানে। পাঁচিল টপকেও ঢুকে পড়েন অনেকে। অনুষ্ঠান শেষে কখন নজরুল মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান কে কে, ভিড়ের কারণে তা টেরই পাননি বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী।
কে কে-র মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রূপম ইসলাম। লিখলেন, 'অবিশ্বাস্য! একই সুপারহিট অ্যালবাম ‘জন্নত’-এ কাজ করা সত্ত্বেও আমাদের আলাপ হয়নি কোনওদিন। অনেকের সঙ্গেই তো হয়েছে। কেকে-র সঙ্গে হয়নি। আজ মনে হচ্ছে আলাপটা হওয়ার ছিল না।'
নজরুল মঞ্চে কলেজের গানের অনুষ্ঠান থেকে হোটেলে ফিরে বমি করেন কে কে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা। দেহের কপাল ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন।
আজই কলকাতায় আসছেন কে কে-র পরিবারের সদস্যরা। নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্য কোনও কারণে সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আজ এসএসকেএমে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কে কে-এর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
গতকাল প্রয়াত হয়েছেন গায়ক কে কে। তাঁর মৃত্যুতে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রয়াত কে কে। খবরে শোকস্তব্ধ বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অন্নু মালিক। তিনি বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখের ঘটনা। এই খবরটা শুনে চোখের জল চোখেই শুকিয়ে গেছে। ওঁর এত কাজ, এত সুন্দর গান গেয়েছেন। এত ভাল একজন মানুষ।'
কে কে-র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, ''সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত। সব বয়সী মানুষের জন্য তিনি গান গেয়েছেন। তাঁর গানের মাধ্যমে তাঁকে আমরা মনে রাখব। তাঁর পরিবার ও তাঁর ফ্যানদের সমবেদনা।''
হিন্দি ছাড়াও বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, গুজরাতি, মারাঠী ভাষাতেও বহু গান গেয়েছেন। ইন্ডিয়ান পপ, রক মিউজিকে আলাদা করে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন কেকে।
কিরোরি মল কলেজের প্রাক্তনী কে কে নিজের গানের জাদুতেই অসংখ্য অনুরাগীর হৃদয় জয় করেছেন। বলিউডে বহু প্লে-ব্যাক করেছেন।
১৯৬৮-র ২৩ অগাস্ট, দিল্লিতে জন্ম কৃষ্ণকুমার কুন্নথের। সঙ্গীত দুনিয়ায় কেকে নামেই পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।
বেশ কয়েকটি গান গাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করেন কে কে। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের সময় স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন গায়ক।
অত্যন্ত ভাল মানুষ। কোনও গসিপে থাকতেন না। আমার সঙ্গে আড়াই-তিন মাস আগেই দেখা হয়েছিল।
সঙ্গীত শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথের মৃত্যুতে শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
অনুষ্ঠান-বিরতিতে ব্যাক স্টেজে বিশ্রামও নেন তিনি। সেখান থেকে হোটেলে ফিরে যান তিনি। তারপর তাঁকে CMRI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অনুরাগীরা। শোকবার্তা বাংলা ও ভারতের শিল্পীদের।
সোমবার ও মঙ্গলবার পরপর দু’দিন নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান ছিল তাঁর। আগের দিন ঠাকুরপুকুরের বিবেকানন্দ কলেজের অনুষ্ঠানের পর, গতকাল উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কে কে।
কলকাতায় নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার (Ultadanga) গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। ফিরে যান হোটেলে। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: প্রয়াত গায়ক কে কে। নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার (Ultadanga) গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের (Krishnakumar Kunnath)। বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন। অসুস্থ হওয়ার পর ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর সূত্রের। সূত্রের খবর, মঞ্চেই নাকি কেকে বারবার জানাচ্ছিলেন তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। স্পটলাইট অফ করতে বলছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর:
সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যখন তাঁকে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। পরে তাঁকে পরীক্ষা করে বলা হয় তিনি মারা গিয়েছেন। এখন হাসপাতালে পৌঁছচ্ছেন হাসপাতালের প্রবীণ চিকিৎসকরা। যাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা হাসপাতালে উপস্থিত রয়েছেন।
জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, '২৭ বছরের বন্ধু। আমার প্রথম ছবি থেকে গান গেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার খুব কাছের বন্ধু।' কথা বলতে বলতে চোখে জল চলে আসে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি বারবার বলতে থাকেন, 'আমার খুব কাছের বন্ধু।' কে কে-র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনুপম, ইমন, সুরজিৎ, বিক্রম ঘোষের মতো শিল্পীরা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -