টোকিও: একেবারে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। মহিলাদের হাসিখুশি দেখলেই মেরে ফেলতে চাইছে এক যুবক। নিজেই সেই কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।
আতঙ্কের ট্রেনযাত্রা
শুক্রবার রাতের ঘটনা। লোকাল ট্রেনে হঠাৎই মহিলা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যায় মাঝবয়সী এক যুবক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মহিলাদের ওপর চড়াও হয় সে। ছুরি দিয়ে আঘাত করে যুবতীদের। তাকে ঠেকাতে গেলে বাকিদেরও হামলার মুখে পড়তে হয়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। জাপানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৩৬ বছরের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টোকিওর লোকাল ট্রেনে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটে এই ঘটনা।
হামলাকারীর জবানবন্দি
পুলিশকে হামলাকারী জানিয়েছে, ৬ বছর আগে প্রথম এই ধরনের মনোবৃত্তি জাগে তার মনে। এরপর থেকেই মহিলাদের হাসিখুশি দেখলেই মেরে ফেলতে ইচ্ছে করে তার। এ বিষয়ে কোনও বয়সের বাছ-বিচার নেই। প্রচুর মহিলাকে হত্যা করাই তার লক্ষ। টোকিওর পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনে অতর্কিত হামলায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। বাকিদের অল্প আঘাত লেগেছে।
জাপানের সামাজিক চিত্র বলছ, এই ধরনের অতর্কিত হামলা দেশে বেনজির ঘটনা। তবে ২০০৮ সালে এরকই এক ঘটনা ঘটেছিল আকিহাবাড়া জেলায়। সেবার ট্রাক নিয়ে ভিড়ের মধ্যে নেমে যায় এক ব্যক্তি। পথচারীরা নিজেদের সুরক্ষিত করার আগেই হামালা চালায় সে। চুরির আঘাতে কমপক্ষে সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই হামলায়। টোকিওর ট্রেনে হামালার সঙ্গে অতীতের আকিহাবাড়া হামলার মিল পাচ্ছে পুলিশ।
মনোবিদরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে পুরোনো কিছু ঘটনার জেরে 'নারী বিদ্বেষী' হয়ে ওঠে কিছু পুরুষ। মনের অবচেতনে বাড়তে থাকে সেই হিংসা। পরবর্তীকালে যা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। এমনকী মহিলা দেখলে খুন করার প্রবণতা জাগতে পারে মনে।এ ক্ষেত্রে যুবক মানসিক রোগী কি না তা জানাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও যুবকের বিষয়ে বিশদে কোনও তথ্য দেয়নি পুলিশ। আপাতত হত্যার চেষ্টার অভিযোগে হাজতে রয়েছে ওই যুবক।