কলকাতা: আমেরিকার জর্জিয়া, ওকলাহোমা ও আলাস্কা রাজ্যে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতির মুখ চেয়ে এই সিদ্ধান্ত। আমেরিকায় অবশ্য করোনা মৃতের সংখ্যা ৫০,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এভাবে লকডাউন শিথিল করার তীব্র নিন্দা করেছেন।


এশিয়ার যে সব দেশে এই ভাইরাস পৌঁছয়নি এখনও বা প্রকোপ কম, সে সব দেশেও শুরু হয়ে গিয়েছে দৈনন্দিন কাজকর্ম। চিনে আজ ধরে ১০ দিন করোনা মৃতের কোনও নতুন তথ্য সামনে আসেনি, সংক্রমিত হয়েছেন নতুন করে ১২ জন। এঁদের মধ্যে ১১ জন বিদেশ থেকে এসেছেন। চিনে এখন মাত্র ৮৩৮ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি, ১,০০০ জন আছেন কোয়ারান্টাইনে। এখনও পর্যন্ত এই রোগে ৮২,৮১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গিয়েছেন ৪,৬৩২ জন। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে করোনার ১০টি নতুন মামলা সামনে এসেছে। এ নিয়ে অষ্টম দিন এ দেশে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ২০-র কম রইল।

ভারতে ১৮,৬০০-র বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত, প্রাণ হারিয়েছেন ৭৭৯ জন। কিন্তু গত সপ্তাহেই গ্রামীণ এলাকায় কৃষি সম্পর্কিত কাজকর্ম শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কারণ লকডাউনের জেরে লক্ষ লক্ষ মজুর সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

ফ্রান্স সরকার বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে বাবা মায়ের ওপর। তাঁরাই ঠিক করবেন, ১১ মে লকডাউন উঠে গেলে বাচ্চারা ঘরেই থাকবে না স্কুলে যাবে। বেলজিয়াম জানিয়েছে, ৩ মে-র পর জরুরি কাজের জন্য শুধু খোলা হবে হাসপাতাল, জামাকাপড়ের দোকানও খোলা হবে।

ডেনমার্কে খুলে দেওয়া হয়েছে ছোটদের স্কুল। স্পেনে আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে। সেখানেও বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাবা মা নেবেন। ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের পর ইংল্যান্ড ইউরোপের চতুর্থ দেশ যেখানে করোনায় মৃতের সংখ্যা সর্বাধিক। তারা এখনও লকডাউন সংক্রান্ত নিয়মে কোনও শিথিলতা আনেনি।

আমেরিকার জর্জিয়া ও ওকলাহোমায় সেলুন, স্পা ইত্যাদি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আলাস্কায় খোলা হচ্ছে রেস্তোঁরা, ছোটখাটো দোকান ও অন্যান্য ব্যবসাপত্র। যদিও কিছু এলাকায় চলছে কড়াকড়ি।