কোচির কালামাসেরিতে (Kalamassery Bomb Blast News ) ধর্মীয় সভায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হল ১২ বছরের এক বালিকার। শরীরের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই নিয়ে কালামাসেরি বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে কেরলে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সচিবালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর কনফারেন্স হলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠকটি হয়।
এদিকে কোচির বিস্ফোরকাণ্ডে ত্রিশূরের কাদাকারা থানায় গিয়ে নাটকীয় আত্মসমর্পণ করেছেন ডমিনিক মার্টিন নামে এক ব্যক্তি। তিনিই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন। ওই সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেরল পুলিশ। নাশকতা, নাকি অন্তর্ঘাত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তির মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করা হয়। তদন্তকে ভুল পথে চালিত করতে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে কেরল পুলিশ।
কে এই ডমিনিক মার্টিন?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মার্টিন এবং তার পরিবার - স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা - গত পাঁচ বছর ধরে খাদের লেনের একটি দু-কামরার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাদের বাড়িওয়ালাও এই ঘটনায় বিস্মিত। জানা গিয়েছে, মার্টিন তার স্ত্রীকে বলেন যে তিনি রবিবার সকালে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন এবং সকাল ৫ টা নাগাদ তিনি কোচির থাম্মানামে তাদের ভাড়া বাড়ি বের হন। তারপর মার্টিন কোথায় যায়, তা তার পরিবার জানে না।
বাড়িওয়ালা জানাচ্ছেন, “মার্টিন ঝামেলা করতেন না। তার অনেক বন্ধু ছিল না কিন্তু শত্রুও ছিল না। স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি, মার্টিন হয়ত পরের দিকে মদ্যপান করতে শুরু করেছিলেন। তিনি কখনও ভাড়া দিতেও দেরি করেননি। তার কার্যকলাপ সন্দেহজনক কিছু ছিল না”।
আহতদের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বেসরকারি হাসপাতালে। বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আজ সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে ২০ জনের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।
রবিবার সকালে কোচির ওই কনভেনশন সেন্টারে ধর্মীয় সভায় যোগ দেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ৩-৪টি বিস্ফোরণ হয় বলে স্থানীয়দের দাবি। পুলিশের দাবি, IED বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে যায় NIA ও NSG।