কলকাতা : উড়ানের পর পরই পাখির আঘাত ! বিমানবন্দরে ফিরে গেল ইন্ডিগোর বিমান। নাগপুর-কলকাতা বিমানে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন এক সিনিয়র আধিকারিক। সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রের খবর, বিমানটিতে ১৬০ থেকে ১৬৫ জন যাত্রী ছিলেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে নাগপুর বিমানবন্দরে ফিরে যেতে হয় বিমানটিকে। আধিকারিক জানিয়েছেন, উড়ান বাতিল করতে হয় শেষমেশ।

এক বিবৃতিতে এয়ারলাইনের মুখপাত্র বলেন, "২ সেপ্টেম্বর নাগপুর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো 6E 812 বিমানের উড়ানের সঙ্গে সঙ্গেই পাখির আঘাত লাগে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাইলটরা। নাগপুর বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে বিমানটি।"  

মুখপাত্রের সংযোজন, "বিমানের প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনের কারণে, আজকের জন্য ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। আমাদের গ্রাহকদের অসুবিধা কমাতে, আমরা তাঁদের জলখাবারের ব্যবস্থা করেছি, বিকল্প ব্যবস্থা করেছি এবং/অথবা বাতিলকরণের সময় সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিয়েছি, যেমনটা চাওয়া হয়েছে।"

গত জুলাই মাসেও ইন্ডিগোর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল। আমদাবাদ থেকে দিউ উড়ানের ঠিক আগে বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ATC-তে বার্তা, রানওয়েতে ফিরে যায় বিমান। উড়ানের ঠিক আগে ইন্ডিগোর 6E7966 বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানের যাত্রীদের পরবর্তী বিমানে যাত্রার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। অথবা পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে। 

ইন্ডিগোর ওই বিমান উড়ানের মুহূর্তেই ককপিটে আসে ইঞ্জিন ফায়ার অ্যালার্ট। অর্থাৎ বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার সতর্কবার্তা। স্বভাবতই শুরু হয় আতঙ্ক। কারণ তার মাত্র একমাস আগেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে এই আমদাবাদে। ইন্ডিগোর 6E-7966 - এই বিমানের উড়ান একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাতিল করা হয়। কারণ আমদাবাদ থেকে দিউ- এর উদ্দেশে উড়ানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময়েই বিমানের একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার সতর্কবার্তা পান পাইলটরা।

সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন পাইলটরা। এটিসি- তে বার্তা পাঠান তাঁরা। বিমানের উড়ান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিরাপদেই থামানো সম্ভব হয় ইন্ডিগোর ওই বিমান। 

বিমানে থাকা ৭০ জন যাত্রী এবং বাকি ক্রু-মেম্বারদের নিরাপদে বিমান থেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়। কেউ কোনও চোট-আঘাত পাননি। প্রসঙ্গত, আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর দেশজুড়ে একের পর এক বিমান বিপত্তির ঘটনা সামনে এসেছে। যার প্রভাব পড়েছে যাত্রীদের মনেও।