সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : আরজি করে অচলাবস্থা কাটাতে পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের। স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির করে দিয়ে সমাধানের রাস্তা তৈরি করার পাশাপাশি নজিরবিহীনভাবে অনশনকারীদের অনশন প্রত্যাহারে অনুরোধ করেন বিচারপতিরা। পাশাপাশি কাজে এগিয়ে আসতে চাওয়া ইন্টার্নদের কাজে যোগ দিতে উৎসাহিত করার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মহামান্য আদালত মনে করিয়ে দেয়, যাতে কোনওভাবেই পরিষেবা বা শান্তি ব্যাহত না হয়। ২ নভেম্বর হাইকোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি।
অধ্যক্ষের ইস্তফা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন দাবিতে এখনও আন্দোলনে অনড় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একাংশ। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। পরিস্থিতি শেষপর্যন্ত গড়িয়েছে কোর্টের দরজা পর্যন্ত। যেখানে আন্দোলনকারীদের তাদের সমস্যা জানানোর মঞ্চ তৈরি করে দিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ, ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করবে আরজি করে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল। ঠিক হয়েছে সকাল ১১টায় ৬ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল যে বৈঠকে অংশ নেবে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে এজলাসেই ফোন ব্যবহারে অনুমতিও দেওয়া হয়। যদিও অনশন-আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনড় আরজি করের পড়ুয়ারা।
হাইকোর্টের কাছে চিঠি লিখে ইন্টার্নরা কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন, যে প্রেক্ষিতে ইন্টার্নদের প্রতিশ্রুতি মতো কাজে যোগ দিতে বলল হাইকোর্ট। ছাত্রদের অনশন প্রত্যাহার করতে বিচারপতিদের অনুরোধের পাশাপাশি তাদেরকে তাঁরা মনে করিয়ে দেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনের অধিকার খর্ব করছে না আদালত। এমন কিছু করা যাবে না, যাতে হাসপাতালের পরিষেবা-শান্তি বিঘ্নিত হয়।
আরও পড়ুন-আরজি কর জটের ২০ দিন, পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতীকী অনশনে অভিভাবকরাও; অসুস্থ আরও ১
এদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি জানিয়েছিল, পড়ুয়াদের অনেক দাবি দাওয়াই মেনে নেওয়া হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশের আন্দোলনকে সমর্থন জানায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে ইনটার্ন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের গরহাজিরা সংক্রান্ত তথ্য মেমো আকারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি। দিনকয়েক আগে মোহিত মঞ্চে এই ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তার পরেও জারি অচলাবস্থা। এনিয়ে অতীন ঘোষ বলেন, "আন্দোলনকারীরা বৈঠকে ছিল। হোস্টেলের দাবি রাতারাতি পূরণ সম্ভব নয়। অচলাবস্থা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। ছাত্রদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে পেছন থেকে ইন্ধন রয়েছে।"